জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের চর ও মশালের চর গ্রামের মধ্যবর্তী দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের মিলনস্থানে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর পিতা সুলতান আহমেদ এর লাশ ভেসে উঠলেও কিশোরী কন্যা শিরিনা খাতুন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পার্শ্ববর্তী সাহেবের আলগা ইউনিয়নে অবস্থিত নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোঃ তাজরুল ইসলাম সরদার।
তিনি আরও জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের অধিবাসী শহর আলী কাচুর পুত্র সুলতান আহমেদ (৪৪), তার স্ত্রী জোবেদা (২৯), কন্যা শিরিনা খাতুন (১৩) ও ৮ বছর বয়সী পুত্রসহ পরিবারের ৬ জন দাওয়াত খেতে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাজিয়ার চর গ্রামে শ্বশুর আজিজ মোল্লার বাড়িতে যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেলে কুড়িগ্রামে আসেন। এরপর বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট থেকে তারা ৬ জন ও কাজিয়ার চর এলাকার ৪ জন মোট ১০ জন নৌকায় চড়ে রওয়ানা দেন। এ অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে ফকিরের চর ও মশালের চরের মাঝামাঝি দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের মিলনস্থানে আকস্মিকভাবে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৮ জন তীরে আসতে পারলেও সুলতান আহমদ ও তার কন্যা শিরিনা খাতুন পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আরো জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে সুলতান আহমেদের লাশ ভেসে উঠে। এরপর দুপুর ২টার দিকে নিহতের লাশ তার বড় ভাই মহবুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে নিখোঁজ শিরিনা খাতুনের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।