আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেয়ের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত করেছিলেন তিনি। সেই বিয়েতেই কনের উদ্দেশে আশীর্বাদপত্র পাঠালেন নরেন্দ্র মোদি। বুঝিয়ে দিলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতি তিনি যত্নশীল। তাই বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যেও বারাণসীর এক ভ্যাচালকের মেয়ের নিমন্ত্রণ ভুলে যাননি তিনি। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত বারাণসীর সেই দরিদ্র পরিবার।
পেশায় ভ্যানচালক মঙ্গল কেওয়াত যে গ্রামের বাসিন্দা, সেই ডোমরি গ্রামটি দত্তক নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই দরিদ্র মঙ্গল কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিলেও, প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ করতে ভোলেননি। আবেদন জানিয়েছেন, তার মেয়ের বিয়েতে এসে যেন আশীর্বাদ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই বিয়ের তারিখে সশরীরে আসতে না পারলেও, শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়েছেন মোদি। আশীর্বাদ করেছেন মঙ্গলের মেয়েকে।
আর সেই চিঠি পেয়েই আবেগে ভেসে গিয়েছে গোটা পরিবার। মঙ্গল কেওয়াত বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি আমার মেয়ের বিয়ে হল। সেখানেই আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে। আমি নিজে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিটা পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম। এর পরে মেয়ের বিয়ের আগেই প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি পাই আমরা। তাতে তিনি মেয়েকে আশীর্বাদ পাঠিয়েছেন। চিঠিটা পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমাজের প্রত্যেক মানুষের খেয়াল রাখেন।’
মঙ্গলের স্ত্রী রেণুদেবীর গলাতেও একই উচ্ছ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব কষ্ট করে মেয়েকে বড় করেছি, বিয়ে দিয়েছি। ইচ্ছা আছে, মেয়ে-জামাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।’ ঘটনাচক্রে, আজ রবিবারই মোদি বারাণসী গিয়েছেন একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা করতে। বারাণসী প্রধানমন্ত্রীর নিজের সংসদীয় এলাকা। তাই যখনই তিনি বারাণসী যান, কিছু না কিছু উপহার দেন সেখানকার বাসিন্দাদের। এবারও একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে এদিন বারাণসীতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বারাণসী, উজ্জ্বয়িনী ও ওংকারেশ্বর, এই তিনটি তীর্থস্থানের মধ্যে কাশী মহাকাল এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন তিনি। ৪৩০টি শয্যাসম্পন্ন একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেরও উদ্বোধন করেন মোদি। সেইসঙ্গে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূর্তিও উন্মো’চন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সবের মাঝে কি একবার সময় বার করে ডোমরি গ্রামে গিয়ে মঙ্গল কেওয়াতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন মোদি? সেই আশাতেই পথ চেয়ে আছেন গ্রামবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।