আন্দামানের উত্তরে এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের কাছে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। আম্পানের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘যশ’।
গতবছর করোনাকালের শুরুতেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে বাংলার উপকূল অভিমুখে ধেয়ে আসে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। আম্ফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবন। সেই আম্ফানের বর্ষপূর্তি হতে না হতেই এবার ‘যশ’ নামক এক ভয়ঙ্কর ঝড়ের পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিরের অভিমুখও সুন্দরবনই।
‘যশ’ ঘুর্ণিঝড়ের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর আগামী বুধবার সকালের দিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলের দিকে আছড়ে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস (আইএমডি) ও ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের তথ্য বলছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী ২২ মে’ লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী ২৪ মে’ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আগামী ২৬ মে’ ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছবে। এর প্রভাবে আগামী ২৫ মে বিকাল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে। আগামী ২৪ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সাগর খুব উত্তাল থাকবে।
আবহাওয়া অফিস আরো বলছে, আগামী বুধবার পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে মঙ্গলবার থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে, আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত সব মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলারকে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে চলাচল না করতে এবং ২৪ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।