আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলগ্রহের মাটি ছুঁয়েছে পৃথিবীর প্রথম হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। বাংলায় বলা যায়- ‘অভিনব’। এই হেলিকপ্টার আছে পারসেভারেন্স (বা, উদ্যম) নামের একটি রোভারের বুকের ভেতর, যা সাত মাসের যাত্রা শেষে গতকাল বাংলাদেশ রাতে লালমাটিতে নেমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্বে মার্শ ২০২০ নামের এই অভিযানে নভোযানটিতে চড়ে অন্তত ১২ বাংলাদেশির নামও ছুঁয়ে ফেলেছে মঙ্গলের মাটি। এ লেখকের নাম এ নিয়ে দুবার মঙ্গলের মাটি ছুঁল। মঙ্গলের ইয়েজেরো গিরিখাতে অভিযান চালাবে উদ্যম আর অভিনব। এই গিরিখাত ৪৫ কিলোমিটার প্রশস্ত। মঙ্গলে জীবনের ছাপ খুঁজবে এরা। পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য কিছু নমুনাও সংগ্রহ করবে।
নাসা জানিয়েছে, প্রাইভেটকার আকারের রোভারটি ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল বিমানঘাঁটি থেকে উড়ে গিয়েছিল।
নাসার দেওয়া তথ্যমতে, পরিভ্রামক যান উদ্যমের সঙ্গে এঁটে দেওয়া ছিল নখের সমান তিনটি মাইক্রোচিপ, যাদের ভেতরে রয়েছে সারা বিশ্বের ১০ কোটি ৯৩ লাখ দুই হাজার ২৯৫ জন মঙ্গলপ্রেমীর নাম। রোভারটির নামকরণের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শীর্ষ ১৫৫ জনের রচনাও জায়গা করে নিয়েছে ওই তিন চিপে।
এই সব মঙ্গলপ্রেমীকে এ যাত্রায় নাসা ৩১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৯ পয়েন্ট দিয়েছে। ৪৭ কোটি কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে এদের নাম সূর্যের চতুর্থ গ্রহে পৌঁছেছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে যাদের নাম মঙ্গলে নেমেছে, তাদের অন্যতম সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রায় ১১ কোটি মানুষের আমি একজন, যার নাম মঙ্গলে পৌঁছাল। ভাবতেই অন্যরকম লাগছে। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আমিও শামিল হলাম।’
এখনো সশরীরে মঙ্গলে যাওয়ার নভোযান নেই মানুষের কাছে। তাই যারা অন্তত নাম নিবন্ধন করে নভোযানের ভেতর মাইক্রোচিপে করে মঙ্গলে যাচ্ছেন, নাসা সেসব মঙ্গলযাত্রীকে ‘মার্শিয়ান’ বা মঙ্গলবাসী বলে অভিহিত করছে।
২০১৮ সালে মার্স ইনসাইট নামের নভোযানে করে দুটো মাইক্রোচিপ পাঠানো হয় মঙ্গলগ্রহে। সেই দুটো চিপে রয়েছে ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০৭ জন পৃথিবীবাসীর নাম। এদের মধ্যে এই লেখকসহ অন্তত ১৪ বাংলাদেশির নাম রয়েছে। ওই বছর নভেম্বরে এসব নাম মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছিল। নামগুলো এখন মঙ্গলের এলিসিয়াম প্লানিশিয়া সমতলে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।