জুমবাংলা ডেস্ক : দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
এর আগে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারায় ৩০৪ (এ) অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মামলাটির আবেদন করেন। এ সময় আদালতে আবরারের মা ও তার চাচাতো ভাই উপস্থিত ছিলেন। পরে মহানগর হাকিম আমিনুল হক মামলাটি গ্রহণ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যায়। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল ৪ টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকেও জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে মৃত্যুর খবরটি জানতে পারে। আবরারের পরিবারের অভিযোগ এটি একটি পরিকল্পিত গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।
ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবরারের মৃতদেহ দ্রুত তুলে পোস্টমর্টেম দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি থানায় করা অপমৃত্যু মামলাটি একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের গত ১ নভেম্বর মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হয়। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম (গ) শ্রেণির (দিবা) শিক্ষার্থী ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।