জুমবাংলা ডেস্ক: ঈদ উদযাপনের জন্য চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন বুধবার মধ্যরাত থেকে শিথিল করা হয়েছে।
সরকার বলছে,২২শে জুলাই মানে ঈদের পরদিন পর্যন্ত শিথিল থাকবে চলাচলে বিধিনিষেধ।
লকডাউন শিথিল হবার ঘোষণায় ইতিমধ্যে বাস-লঞ্চ-ট্রেন চলাচলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দুইদিন পরই শুরু হচ্ছে গরুর হাট, যার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।
দূরপাল্লার বাস চলবে যেভাবে
বুধবার রাত ১২টার পর থেকে চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল হবে বলে অনেক পরিবহন মালিক প্রস্তুতি নিয়েছেন, মধ্যরাত থেকেই বাস চালানোর। সেজন্য মহাখালী, গাবতলী, সায়দাবাদসহ দূরপাল্লার বাস ছাড়ে এমন টার্মিনালগুলোতে লকডাউনের মধ্যেই টিকেট বিক্রি, বাস ধোয়ামোছার কাজ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাস মালিকেরা।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেছেন, অনেক মালিক বুধবার রাত থেকেই বাস চালাবেন, কেউ ১৫ই জুলাই সকাল থেকে বাস চালু করবেন।
তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অর্ধেক আসন খালি রেখে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।
কিন্তু যাত্রাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানে মাস্ক পড়া, ছয়ফুট দূরত্ব রাখার বিষয়টি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা মনিটরের কী ব্যবস্থা?
জবাবে মি. এনায়েতুল্লাহ স্বীকার বলছেন, এমন কোন মেকানিজম দূরপাল্লার গাড়িতে করা সম্ভব নয়।
”টার্মিনাল থেকে যাত্রী তুলে দেয়ার পর যদি মাঝপথে যাত্রী উঠে বা অনিয়ম করে তাহলে, তাহলে হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন পয়েন্ট আছে তারা দেখবে।”
সেক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নজরদারি করার কোন পরিকল্পনা আছে কী?
তিনি বলেন, “আমাদের নজরদারি আমরা টার্মিনাল থেকে করব, আর দুয়েকটা পয়েন্টে আমরা নজরদারি করব। তার বাইরে তো পারবো না।”
তবে, নজরদারি বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব, দূরপাল্লায় যাতায়াত করে এমন ছোট কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে সেটা প্রায়শই সম্ভব হয় না, কারণ তাদের লোকবলও কম থাকে।
‘নৌপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাবে না’
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে চলবে নৌপরিবহনও। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে প্রতি বছর ঈদের সময়ে যাত্রীদের ঠাসাঠাসি ভিড় থাকে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, লঞ্চে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি ঠেকাতে টার্মিনালের পন্টুন ও গ্যাঙওয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রী এবং লঞ্চ মালিক উভয়ের জরিমানা করা হবে।
তবে ঈদের সময় ঘরে ফেরা মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে চলাচল অসম্ভব একটি ব্যাপার বলে মনে করেন ঢাকা-বরিশাল ও মাদারীপুর রুটে চলাচলকারী এমভি পারাবত লঞ্চের মালিক শহীদ ভুঁইয়া।
তিনি বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি যাত্রী চলে তাহলে মানা হবে, না হলে তাদের পক্ষে সেটা মানানো সম্ভব না।
”ঈদের সময়, লোকে স্বাস্থ্যবিধি মানবে না, আমরাও তাদের মানাতে পারবো না। ঈদের সময় না হলে একটা কথা ছিলো।
মি. ভুঁইয়া বলছেন, “এখন যদি লোকে লঞ্চে না ওঠে, আমাদের কিছু করার নাই। কিন্তু লোক উঠলে আমি তাদের পরিবহন করবো।”-বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।