জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জ পৌরশহরে চার বছরের শিশু এনামুল হক মুসাকে (তালহা) মাথায় উপর্যুপরি পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের গুজাউড়া হাছননগরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সম্পর্কিত ৫০ সেকেন্ডের একটি ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
ভিডিওতে খুনি আব্দুল হালিমকে হাসতে দেখা যায়। এমনকি তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মনের দুঃখে আমি শিশুটিকে মারছি।’ শুক্রবার রাতে বিন্দু তালুকদার নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ঘটনাস্থলের পাশের সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ওই ঘটনা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত শিশু এনামুল হক মুসা গুজাউড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। হামলাকারী আব্দুল হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু তালহা আজ দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল হালিম প্রথমে তালহাকে লাথি দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দেয়। এরপর একটি ভারী পাথর দিয়ে তালহার মাথায় পাঁচ-ছয়বার আঘাত করে। এতে শিশুটির মাথা থেঁতলে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মেটারসাইকেল আরোহীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে তালহাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনিত হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু আজ বিকেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা হামলাকারীকে আটক করে। তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে তারা জানিয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। একটি শিশুকে এভাবে কেউ খুন করতে পারে? স্থানীয় লোকজন এক যুবককে আটক করে পুলিশের দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ঘটনা ধরা পড়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।