বিনোদন ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো বাতিল করা হলো ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল ব্যক্তি আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র। তবে হার মানার পাত্র তিনি নন। এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, এবারও মনোনয়ন টেকাতে অর্থাৎ প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্ট যাবেন তিনি।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম।
তবে রবিবার দুপুরে যাচাইবাছাই শেষে হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন ওই রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে হিরো আলম বলেছেন, তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।
একইসঙ্গে স্বঘোষিত এই হিরো এমন সংশয়ও প্রকাশ করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে কাজ হবে না। তার ভাষায়, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে কিছু পাওয়া যাবে না। ওখান থেকেও আমার মনোনয়ন বাতিল করে দেবে। সেটা আমার জানা হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্ট ছাড়া কোনো উপায় নেই।’
এদিকে, হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেছেন, ‘যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। হিরো আলম তা নিতে পারেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে তার দেয়া এক শতাংশ ভোটারের হদিস পাননি।’
এরপরই ঢাকা টাইমস যোগাযোগ করে হিরো আলমের সঙ্গে। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর এখন কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেটা করার সেটাই করতে হবে। আপিল করতে হবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করব। সেখানে কাজ না হলে হাইকোর্টে আপিল করব।’
মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমার তিনজন ভোটার নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ভোটারদের স্বাক্ষর দেখল না। ভোটাররা উপস্থিত ছিল তাদের দেখল না। নির্বাচন কমিশনার ইচ্ছা করে এটা করেছে।’
আক্ষেপ করে হিরো আলম বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকতা বলছেন, তিনি ভোটারদের স্বাক্ষর খুঁজে পাননি। আমি বলেছি, ভোটাররা আমার সামনেই ছিল। তখন ওনারা বলেন, স্বাক্ষরে মিল নেই। আমি বললাম, তারা আমার সামনে, দেখেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দেখল না।’
হিরো আলম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম প্রার্থী হন ২০১৮ সালে। বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সে বারও প্রথমে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ঘুরে উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বগুড়ার দুটি আসনের (বগুড়া-৪ ও সদর) উপনির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ফেসবুক ও ইউটিউবে কনটেন্ট বানিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হওয়া এই স্বঘোষিত হিরো। সে বারও তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
হার না মানা হিরো আলম এবারও উচ্চ আদালতে আপিল করে তার প্রার্থিতা ফিরে পান। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের আগে আরও একবার বাতিল হলো হিরো আলমের প্রার্থিতা। এবারও তিনি আদালতের দারস্থ হওয়ার কথা জানালেন। ফল কী হয়, সেটাই দেখার।
গত ১৫ মে মারা যান ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সেই শূন্য হওয়া আসনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৭ জুলাই। ব্যালটের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
ইসির তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনিবাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।