আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে উত্তেজিত জনতার আক্রমণ থেকে মন্দির রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রধানসহ ১২ জন পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘কাপুরুষতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবহেলার’ অভিযোগ এনে ওই পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
এ ঘটনায় প্রাদেশিক সরকার আরও ৩৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে এক বছরের জন্য বরখাস্ত করেছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশের প্রধান সানাউল্লাহ আব্বাসি বিষয়টি জানান। মন্দির রক্ষার চেষ্টা না করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখান থেকে পালিয়েছিল বলে জানান।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের উসকানিতে সহস্রাধিক মানুষ খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কারাক জেলায় শত বছরের পুরোনো ওই হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায়। আদালতের নির্দেশে মন্দির সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। সেটির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবেন বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন স্থানীয় মুসলিম নেতারা। কিন্তু বিক্ষোভের সময় তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।এর পরই উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কেউ কেউ হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে দেয়। হামলার ভিডিও ফুটেজে এমনটাই দেখা গেছে।
হামলাকারীরা মন্দিরের ছাদে উঠে ভাঙচুর চালায়। মন্দিরটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তার আগেই মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে যায়। ওই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় মুসলিম নেতা মোল্লা শরীফসহ প্রায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পেশোয়ার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কারাক জেলা। সেখানে ১৯ শতকের শুরুর দিকে মন্দিরটি স্থাপিত হয়েছিল। ১৯৯৭ সালেও উন্মত্ত জনতা এটিতে হামলা চালায়। এরপর ২০১৫ সালে এক আদেশে এটি পুনঃর্নিমাণের ঘোষণা দিয়ে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। এখন আবারও সেটি পুনঃর্নিমাণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।