টানা তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্ত তিনি কিভাবে টানা জয় পেলেন এ নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের পর্যবেক্ষণ বলছে, শুধু মমতার বিচক্ষণতা নয় এর পেছনে নির্বাচনের আগে দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রশান্ত কিশোরের অবদানও রয়েছে। মমতার জয়ের একজন ‘নেপথ্য নায়ক’ তিনি।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন সামনে রেখে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছিলেন দলের পরামর্শক হিসেবে। প্রশান্ত কিশোর এ দায়িত্ব নেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানোর জন্য কাজ শুরু করেন। তিনি মমতাকে নিত্যনতুন পরামর্শ দিয়ে তৃণমূলকে এগিয়ে নেন। মমতার নতুন নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে কার্যত তার জয়ের পথকে প্রশস্ত করে তুলেন।
নির্বাচনের আগে প্রশান্ত বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, তৃণমূলই জিতবে এবার। বিজেপি তিন সংখ্যার অংকেও পৌঁছাতে পারবে না। তারা আটকে থাকবে দুই সংখ্যায়ই। যদি বিজেপি তিন সংখ্যার আসন পায়, তবে তিনি নিজের সংস্থা আইপ্যাক ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাবেন।
ভোটের ফল গণনায় তার সেই কথাই বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অক্ষরে অক্ষরে মিলেছে মমতার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) কথা। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ২৯৪টি আসন থাকলেও নির্বাচন চলাকালে দুই প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানে ভোট স্থগিত হয়। যে ২৯২টি আসনের ভোট গণনা হয়েছে, এরমধ্যে ২১৩টিতেই এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস, যেখানে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮টি আসন। অপরদিকে বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৭৭টি আসনে।
বিজেপি কেন এত বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল, সে বিষয়েও স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে তার। তার যুক্তি, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে ২০১৯-এর তত্ত্বই খাটাতে চেয়েছে। এ রাজ্যের ভোটের জন্য কোনো আলাদা তত্ত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি এই দল।
প্রশান্ত কিশোর অতীতে ২০১৮ সালে কাজ করেছেন নরেন্দ্র মোদির দলের হয়ে। কাজ করেছেন বিহারে জেডিইউ-র হয়েও। বেশির ভাগ সময়ে জয় এসেছে। কিন্তু জিততে জিততেও যেন ক্লান্ত প্ৰশান্ত কিশোর। আজ বললেন, আমি কখনও টিম এ কখনও টিম বি-এর হয়ে কাজ করেছি। এবার আমার বিরতি নেওয়ার সময় এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।