লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনি কি মাছ খেতে খুব পছন্দ করেন? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে নিশ্চয়ই জানেন মাছ কতটা পুষ্টিকর। কেউ কেউ মাছ খেয়ে মাথা ফেলে দেন। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, মাছের তুলনায় মাছের মাথা অনেক বেশি পুষ্টিকর। মাছের মাথা অনেক ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ । কেউ কেউ মাছের মাথা খুব সুস্বাদু বলে মনে করেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘অনলিমাইহেলথ’এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাছের মাথা খাওয়ার নানা উপকারিতার কথা। মাছের মাথা খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
স্বাস্থ্যকর প্রোটিন: মাছের মাথা স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। অন্যান্য মাংসজাত খাবারের তুলনায় মাছের মাথায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। সুতরাং, এটি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। আপনি যদি লাল মাংসের পরিবর্তে মাছ খান, তাহলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেক কমে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস : মাছের মাথায় ভালো পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণা বলছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার শরীরের কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক, অনিয়মিত হার্টবিটের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
চোখ এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী: মাছের মাথা ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস। তাই এটি চোখের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।
বিষণ্নতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য: গবেষণা বলছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডিএইচএ রয়েছে এমন খাবার গ্রহণ মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এবং মানসিক অসুস্থতা যেমন স্ট্রেস, বিষণ্নতা থেকে রক্ষা করে। যেহেতু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে তৈরি করা যায় না, তাই ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন খাবার খাওয়া দরকার। মাছের মাথায় প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।
ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস: মাছের মাথায় থাকা অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। মাছের মাথা খেলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। এ ছাড়া মাছের মাথা খাওয়া অটোইমিউন রোগের ঝুঁকিও কমায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।