আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাটির নিচে পাওয়া গেল ১২০০ বছরের পুরনো মসজিদ! ইউরোপের এক সময়ের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ স্পেনের বর্তমান রাজধানী মাদ্রিদের রেকোপোলিস গ্রামে এ মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মাদ্রিদের প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, মাটির নিচ থেকে যে স্থাপনা বেরিয়ে এসেছে তা দেখতো পুরোপুরি মসজিদের মতোই। আর এ মসজিদটিই ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
রেকোপোলিস শহরে ৬০০ শতকের দিকে নির্মিত প্রাচীন এ মসজিদটি মাটির নিচে চাপা পড়েছিল বলে জানায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা। রেকোপোলিস শহরটি ভিসগথিক শাসকরা নির্মাণ করেন। শহরটিতে মুসলিম শাসনামলের বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে।
স্পেনের আলচালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ল্যারো ওলমোকে রসিকতা করে বলেন, এখানে একটি প্রাসাদ, একটি চ্যাপেল ও কিছু দোকানপাটের অবশিষ্টাংশ দেখা যায় কিন্তু বাকি শহরটি গেলো কোথায়?
পরবর্তী বছর ২০১৫ সালে তিনি পুরো শহরটির জরিপের কাজ শুরু করেন। কয়েকজন সহকর্মীসহ জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে তিনি স্থানটির সম্পূর্ণ জরিপ করেন। জরিপ চলাকালীন সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা লক্ষ্য করেন, অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে একটি স্থাপনা ভিন্ন।
তবে নির্মাণ শৈলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যে, মসজিদের আদলে কেবলামুখী এ স্থাপনাটি মসজিদই হতে পারে। যদি এটি নিশ্চিত মসজিদই হয় তবে তা হবে ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। যা হিসেবে প্রায় ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো হবে। এমনটিই দাবি করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ব্রিটেনে শত শত তরুণীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ, বিয়ে করছেন মুসলিম তরুণদেরব্রিটেনে বাড়ছে তরুণীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংখ্যা ব্রিটেনে তরুণীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে ব্রিটেনে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং এদের অধিকাংশই মূলত ইসলাম ধ’র্ম গ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশটিতে শ্বেতাঙ্গরা, বিশেষ করে মেয়েরা খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। ফলে রক্ষণশীল ব্রিটিশরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ সংস্থা ‘ফেথ ম্যাটার্স’র সম্প্রতি এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কাজ করা এই সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে, যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের কারো বয়সই ২৭-এর বেশি নয়।
এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। ফেথ ম্যাটার্স-এর জরিপ অনুযায়ী ব্রিটেনে গত বছর প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব সবসময়ই সমালোচনায় মুখরিত।
সমালোচকরা চিন্তিত এই ভেবে যে, বর্তমানে যেখানে ইসলাম ধর্মকে ঘিরে এত বিতর্ক চলছে, তার মধ্যে কীভাবে এই ধর্মের প্রতি এত আগ্রহী হওয়া যায়? ইসলাম ধর্ম বিশেষজ্ঞরা জানান, যে সব সংখ্যা তাদের কাছে হাজির করা হচ্ছে তাতে তারা বিস্মিত।
তাদের তথ্যের মূল উত্স হলো লন্ডনের মসজিদগুলো। মসজিদগুলো সবচেয়ে ভালো খবর রাখে এসব বিষয়ে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন আয়ারল্যান্ডের মেয়ে বাতুল আল তোমা। তিনি বলেন, ‘আমরা লেস্টারে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি।
আমরা জানতে পেরেছি যে, মসজিদগুলো সব মুসলমানের সংখ্যা নির্ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করে না। যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে অথচ মসজিদে যায়নি তাদের কথা কোন মসজিদই জানে না। এসব মুসলমানকে ‘শাহদাহ’ সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।