বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরের প্লে অফের আগেই বিদায় নিয়েছে তারকাখচিত দল ঢাকা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তামিম। প্লে অফের আগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ঢাকার এই ওপেনার। সর্বোচ্চ ৪০৭ রান নিয়ে প্রথম পর্বের লড়াই শেষ করেছেন।
কিন্তু দলের বাকিরা প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলতে না পারায় প্লে অফের আগেই বিদায় নেন তামিম-মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ঢাকা।
প্লে-অফের আগে ঢাকা বিদায় নেওয়ার সুবাদে তামিম ইকবালের অন্যরকম অভিষেক হয়ে গেল। সোমবার মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচে ধারাভাষ্যে অভিষেক হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। প্রথমবারের মতো ধারাভাষ্য দিতে দেখা গেল দেশসেরা এই ওপেনারকে। দল বাদ পড়ায় সোমবার ধারাভাষ্য কক্ষে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। তামিমকে স্বাগত জানান, এডওয়ার্ড রেইন্সফোর্ড। শুরু থেকেই বেশ সাবলীল ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। এক মুহূর্তের জন্য তার জড়তা দেখা যায়নি। খেলা দেখে অনর্গল বর্ণনা দিয়ে গেছেন।
রেইন্সফোর্ড শুরুতে তামিমের বিপিএল পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন। রেইন্সফোর্ড তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসা করলে তামিম বলেছেন, ‘সংখ্যাগুলো দেখে অবশ্যই ভালো অনুভব হয়। কিন্তু আমার কখনোই এসব সংখ্যার দিকে মনোযোগ থাকে না। সব সময় লক্ষ্য থাকে মাঠে গিয়ে পারফর্ম করা, দলের জয় নিশ্চিত করা।’
এরপর ম্যাচে মনোযোগী হন দুই ধারাভাষ্যকার। মুশফিক দশম ওভারে বেনি হাওয়েলকে সুইপ করে দুই ছক্কা হাঁকালে তামিম বেশ খুশি হন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন,‘আপনি যখন দুইশো’র কাছাকাছি রান তাড়া করতে যাবেন, তখন এসব শট খেলতে হবে। তাকে আজ বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। এই ধরণের পরিস্থিতিতে তার ম্যাচ জেতানো ইনিংস রয়েছে।’
ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় এবারই প্রথম দেখা দিলেও খুব বেশিক্ষণ ছিলেন না তামিম। ৫ ওভারের মতো ধারা বিবরণী দিয়েছেন। তার পর প্রেসবক্সেও গেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আজকে মিটিং ছিল, তাই মিরপুরে আসা। এই ফাঁকেই কিছুক্ষণের জন্য ধারা বিবরণী দিলাম। ভালো অভিজ্ঞতা ছিল।’
সামনেও কি এমন দেখা যাবে? এমন প্রশ্নে তামিম বলেছেন, ‘না, না। আজকেই করলাম। অভিজ্ঞতা নিলাম।’
প্রেসবক্সে এই সময় তামিম ইকবাল আফগানিস্তানের ওয়ানডে দল নিয়ে কথা বলেছেন। দলটিতে কারা কারা আছেন, সেসবও জানতে চেয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে বেশ সিরিয়াস।
আতহার আলী ছাড়াও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে অতীতে টেলিভিশনে ধারাভাষ্য দিয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস, মেহরাব হোসেন জুনিয়রও। নাফীস ও মেহরাব জুনিয়রের ধারাভাষ্য ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি। বাংলাদেশ থেকে একবার আইপিএলে বাংলায় ধারাভাষ্য দিতে গিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও এখনকার নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।