জুমবাংলা ডেস্ক : নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা চৌপথী হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের মাঝে বিতরণকৃত কম্বল রাতের আঁধারে লুট করে নিয়ে গেছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের গাড়িচালক।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে মটুকপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ও পাঙ্গামটকপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হকের গাড়ি চালক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মতিন মাদরাসার ১৩টি কম্বল লুট করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে কম্বলগুলো ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেও সাধারণ মানুষের বাধার মুখে পালিয়ে যান।
মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে ছাত্রলীগের সঙ্গে মতিনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে সংগঠনের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।
গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে রূপালী ব্যাংকের দেয়া ৩৬টি কম্বল ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা শবনম ওই মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ হাবিবুল্লাহ মেজবাহ বলেন, ‘গত বুধবার গভীর রাতে মতিন মাদরাসায় ঢুকে ইউপি চেয়ারম্যানের কথা বলে ছাত্রদের কাছ থেকে জোর করে ১৩টি কম্বল নিয়ে যান। পরে কম্বলগুলো ফেরত দেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেন লুটকারীরা। তবে সাধারণ মানুষজন কম্বলগুলো ফেরত নিতে নিষেধ করায় আমরা আর ফেরত নেইনি।’
পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যানের গাড়িচালক মতিনসহ কয়েকজন লুটকৃত কম্বল ফেরত দেয়ার জন্য আসলে জনগণের বাধার মুখে তারা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে পাঙ্গামটকপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে হেয় করার জন্য কম্বল লুটের ঘটনা সাজানো হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও আমার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা শবনম জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।