সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), পেট্রোল ও অকটেনসহ দাহ্য পদার্থ।
বিক্রেতারা জ্বালানী ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কোনও অনুমতি ছাড়াই অবাধে এসব দাহ্য পদার্থ বিক্রি করে যাচ্ছেন। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির আশংকা করছেন সাধারণ জনগণ।
বুধবার (৩১ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় মানিকগঞ্জ শহর এলাকার বেউথা ঘাট, নয়াকান্দি, জরিনা কলেজ, বেতিলা-পালড়া, হিজুলী কাচারী বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে মুদি দোকান, চায়ের স্টল, ইলেক্ট্রিক দোকান ও ওষধের ফার্মেসিসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই অবৈধভাবে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এল পি জি), পেট্রোল ও অকটেনসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে। কোনও নিয়ম না মেনেই দোকানদাররা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল ও অকটেনসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করার জন্য কম করে হলেও মেঝসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপন সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নি নির্বাপন সিলিন্ডার এবং মজবুত ঝুকিমুক্ত সংরক্ষনাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মাহ্বুব আলম মুরাদ জুমবাংলাকে বলেন, অসাবধনতাবশত এসব দোকানের কোনও একটিতে আগুন লাগলে বাজারের সমস্ত দোকান ধ্বংস হয়ে যাবে। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবসায়ীদের নিয়ম-নীতি মেনে সিলিন্ডার গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করা উচিত।
এ ব্যপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (নির্বাহী মেজিস্ট্রেট) মামুন সরদার জুমবাংলাকে বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতি শিগগির এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।