আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, তার বাবা গোপনে তার (ছেলের) মামির সঙ্গে গত ২০ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছে। আর বিষয়টি ওই তরুণ জানতে পেরেছেন ফেসবুকে।
সামাজিক সংবাদ সংগ্রহ, ওয়েব সামগ্রী রেটিং, এবং আলোচনার ওয়েবসাইট রেডিটে এক পোস্টে ওই তরুণ দাবি করেছেন, গোপনে মামিকে দেখতেন তার বাবা। ওই নারীর বিয়ে হয়েছে তার মামার সঙ্গে।
তরুণের আরো দাবি, তার বাবা ও মামি পারিবারিকভাবেও অনেক ঘনিষ্ঠ। প্রায়ই একসঙ্গে তারা ছুটির দিনগুলো কাটিয়ে আসছে। জর্ডান নামের ওই তরুণ আরো জানিয়েছেন, তার বাবা পিটার এবং মামি ক্যাথরিন ফেসবুকেও বন্ধু। সম্প্রতি জর্ডানের এক মামাতো ভাই তার মামির মোবাইল থেকে ফেসবুকে ঢুকে পড়ে। তখনই জর্ডানের বাবা ও মামির কথোপকথন চোখে পড়ে।
জর্ডানের দাবি, তার বাবা ও মামি যৌনগন্ধী কথা বলতো। এমনকি তাদের ঘনিষ্ঠ অনেক ছবিও পাওয়া গেছে, যেগুলো তারা বিভিন্নখানে ঘোরাঘুরি ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তে তুলেছেন।
তবে এ ব্যাপারে মামির কাছে জানতে চাইতেই তিনি বলেন, তারা মজা করে এসব কথা বলেছেন। যদিও ততক্ষণে ম্যাসেঞ্জার থেকে সব মুছে ফেলেন তিনি।
যদিও আগেই সেসব ছবি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করেছেন জর্ডানের মামাতো ভাই। পরে তার মামিকে সব স্বীকার করে নেওয়ার কথা বলেন জর্ডান। অন্যথায় জর্ডান এসব কথা তার মা ও মামাকে বলার হুমকি দেন।
জর্ডান বলেন, এসব জেনে আমি বিস্মিত হইনি। তবে বিষয়টি জানার পর আমার মা কেমনভাবে মামিকে দেখবে সেটাই ভাবছি। কারণ, মা আমার মামিকে অনেক বিশ্বাস করতো, সেই সঙ্গে বাবাকেও।
তিনি আরো বলেন, সেই সঙ্গে আমার মাত্র নয় বছরের এক বোনও রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে আমার বোনের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে।
ওই পোস্টের নিচে একজন কমেন্ট করেছেন, তোমার মায়ের বিষয়টি জানা উচিত। এটা তাকে কষ্ট দেবে ঠিকই। তবে তিনি বিষয়টি জানার অধিকার রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।