জুমবাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় এবং সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের লক্ষ্যে দু-দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের দেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম প্রধান বাজার। আমাদের এই সম্পর্ককে কীভাবে আরও গভীর করতে পারি এবং সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে আরও শক্তিশালী করতে পারি এ নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও চায় আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন হোক। আর সে লক্ষ্যেই কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছিলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মাথাব্যথার কারণ রোহিঙ্গা ইস্যু। সে বিষয় নিয়েও দুপক্ষের কথা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করায় মার্কিন প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বৈঠকের প্রসঙ্গ নিয়েও মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের বলেন হাছান মাহমুদ।
এ ছাড়াও, গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে এবং রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাবের প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ৫টি ‘অবজারভেশন’ দিয়েছে, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় তারা কীভাবে আরও বেশি সহায়তা করতে পারে, সেই সঙ্গে উভয় দেশেরই ইচ্ছে দু-দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করা ছিল আলোচনার মূল বিষয়, জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি।
এর আগে, বৈঠক শেষে এক মিনিটেরও কম সময়ের জন্য গণমাধ্যমে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এইলিন লাউবাকার।
বৈঠকের ব্যাপারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র- বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতেই মার্কিন প্রতিনিধি দলটি ঢাকা সফরে এসেছে। সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আমাদের আলচনা চলমান আছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইড সহকারী প্রশাসক ও এশিয়া ব্যুরো মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গোগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের ব্রিফিং
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।