জাতিসংষের সাধারণ পরিষদে আগুনঝরা ভাষণে ইউরোপীয় নেতা ও জাতিসংঘকে আক্রমণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনার্ড ট্রাম্প। ইউরোপকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে। তিনি জাতিসংঘকে শান্তি চুক্তিতে সাহায্য না করার জন্য দোষারোপ করেন এবং ইউরোপে অভিবাসন ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থনকারী মিত্র দেশগুলোকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
ইউরোপে অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে।”
তিনি তার মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন তার (ট্রাম্প) উদাহরণ থেকে শিক্ষা নেয়।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন দ্রুত বন্ধ করেছি। যখন আমরা সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রত্যেককে আটকানো ও ফেরত পাঠানো শুরু করি, তখন তারা আসা বন্ধ করে দেয়।”তিনি ইউরোপে চলমান অভিবাসনের হারকে “গ্লোবালিস্ট অভিবাসন এজেন্ডা” বা “বিশ্বায়নপন্থী অভিবাসন পরিকল্পনা”র অংশ বলে অভিহিত করেন।
ট্রাম্প তার দৃষ্টিতে অভিবাসনে বিপর্যস্ত দেশগুলোর প্রতি একটি কঠোর ও বিস্ময়কর সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেন, “উন্মুক্ত সীমান্তের এই ব্যর্থ পরীক্ষার অবসান ঘটানোর সময় এসেছে। এখনই তা বন্ধ করতে হবে। তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে।”
ট্রাম্প জাতিসংঘকে শান্তি চুক্তি ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে “নিষ্ক্রিয় ও অকার্যকর” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “যে প্রতিষ্ঠান নিজের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ, তাদের আর দায়ভার নেওয়ার অধিকার নেই।”তিনি সেইসব মিত্র দেশগুলোকেও ভর্ৎসনা করেন, যারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার দাবি, এসব সিদ্ধান্ত “শান্তির পথে অন্তরায় এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়।”
প্রসঙ্গক্রমে, ট্রাম্প তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের একটি সাম্প্রতিক সাইবার নিরাপত্তা অভিযানের কথাও উল্লেখ করেন। অভিযানে নিউ ইয়র্ক শহরের মোবাইল নেটওয়ার্ককে অচল করে দিতে পারতো, এমন একটি হুমকি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।