মালয়েশিয়া শ্রমিকদের সার্বক্ষণিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৬৯ সালের এমপ্লয়িজ সোশ্যাল সিকিউরিটি আইন (অ্যাক্ট ৪) সংশোধনের প্রস্তাব আগামী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে। এই নতুন পদক্ষেপে কর্মীরা অফিসের বাইরেও সামাজিক সুরক্ষা সংস্থা (পারকেসো)-এর আওতায় থাকবেন।
মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং জানিয়েছেন, নতুন সংশোধনী আধুনিক কর্মপরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন,
“এই পদক্ষেপ আজকের পরিবর্তিত কর্মপরিবেশকে প্রতিফলিত করবে এবং কর্মীদের সর্বাত্মক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসা কর্মীর সংখ্যা ৬৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে সর্বোচ্চ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৬৫৫ রিঙ্গিত থেকে ৫,৩৫৫ রিঙ্গিতে পৌঁছেছে।
এর আগে ‘লিন্দুং কাসিহ’ স্কিম ও আই-সুরি কর্মসূচি-র মাধ্যমে ৫ লাখের বেশি গৃহিণী উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া সম্প্রতি পাশ হওয়া গিগ কর্মী আইন গিগ অর্থনীতির কর্মীদের সুরক্ষায় যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মন্ত্রী সিম বলেন, “এটি মালয়েশিয়ার সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন। বিশ্বে এখন নমনীয় চাকরি, রিমোট ওয়ার্ক এবং গিগ অর্থনীতি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। অনেক উন্নত দেশেও অফিস সময়ের বাইরে কর্মী সুরক্ষা নিশ্চিত করা এখনও চ্যালেঞ্জ। এই নতুন আইন মালয়েশিয়াকে সামাজিক নিরাপত্তার অগ্রণী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
মালয়েশিয়ার নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক মহলেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা ফোরাম-এ পারকেসো’র প্রধান নির্বাহী দাতুক সেরি ড. মোহাম্মদ আজমান আজিজ মোহাম্মদ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন (২০২৬–২০২৮)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।