আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বার্লিনের এক আলোকচিত্রী জঙ্গলে গিয়ে মাশরুম সংগ্রহ করে ও তার ছবি তুলে বেড়ান। শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, প্রাণশক্তিতে ভরপূর। জঙ্গলের এই রূপের স্বাদ চুটিয়ে উপভোগ করেন মোরিৎস স্মিড নামের ওই আলোকচিত্রী।
বিজ্ঞাপন জগতের ফটোগ্রাফার হিসেবে তিনি হেমন্তকালে যতক্ষণ সম্ভব জঙ্গলে গিয়ে মাশরুম বা ছত্রাক সংগ্রহ করেন। তার কাছে জীবনযাত্রার গতি কমানোর এটাই সেরা উপায়।
মোরিৎস বলেন, ‘এগুলি সত্যি বড় সুন্দর। প্রায়ই শুধু ব্যাঙয়ের ছাতার উপরের সামান্য অংশ দেখা যায়। বোলেটাস মাশরুমের ক্ষেত্রে নীচে বিশাল এক ছত্রাক লুকানো থাকে। পাইনের পাতা বা ঘাসের আড়ালে মাশরুম প্রায়ই ঢাকা পড়ে যায়। আবিষ্কার করলেই মনে বিস্ময় জাগে।’
অরণ্যই আনন্দের উৎস। মোরিৎস বাকিদের সঙ্গেও সেই অনুভূতি ভাগ করে নিতে চান। তিনি প্রায়ই মাশরুমের ছবি তোলেন, সঠিক প্রেক্ষাপটে সেগুলির সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান। ‘ইনটু দ্য উডস’ নামের বইয়ের মাধ্যমে তিনি পাঠকদের অরণ্যের জগত ও মাশরুমের রাজত্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
মোরিৎস স্মিড মনে করিয়ে দেন, ‘আলোকচিত্রী হিসেবে আমি অবশ্যই শুধু মাশরুমের স্বাদ নয়, সেগুলির আকার-আয়তন নিয়েও আগ্রহী। এই জগতের সীমাহীন বৈচিত্র্য রয়েছে। জঙ্গলে হাঁটতে গেলে প্রত্যেক বার কোনো না কোনো নতুন প্রজাতির দেখা পাওয়া যায়। সেগুলির আকার আর রং আমাকে কখনোই ক্লান্ত করে না।’
২০০৯ সাল থেকে মোরিৎস স্মিড বার্লিনে নিজের স্টুডিওতে আলোকচিত্রী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন। তবে সেখানে তার দেখা পাওয়া কঠিন। বেশিরভাগ কাজের জন্য তাকে বিদেশে যেতে হয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে জমকালো ছবির শুটিং করার জন্য কম ঝক্কি পোয়াতে হয় না।
তিনি বলেন, ‘আমাকে সত্যি খুব ঘোরাঘুরি করতে হয়। অনেক বিমানযাত্রা করতে হয়। বিশ্বভ্রমণের কারণে অনেক পরিমাণ কার্বন নির্গমনের জন্য আমি দায়ী। অসংখ্য মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়। সারাদিন সংগীত চলে। সবাইকে খুশি রাখতে আমাকে ক্লাউনের মতো মুখে হাসি রাখতে হয়। খুশিমনেই সে সব করি।কিন্তু মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে জঙ্গলে এই শান্ত পরিবেশেরও প্রয়োজন হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।