জুমবাংলা ডেস্ক : মোবারক হোসেন নামের এক অফিস সহকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক বছরে অত্যন্ত সন্দেহজনক পরিমাণের লেনদেন ঘটেছে। এই লেনদেনের মধ্যে রয়েছে অনেক বড় অঙ্কের জমা এবং স্থানান্তর, যার ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০২০ সালের আগস্টে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় মোবারক হোসেনের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। পরবর্তী সাড়ে চার বছরে তার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা এবং তিনি ২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন।
এছাড়া, এক দিনে ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা পড়েছে এবং সর্বোচ্চ একবারে ৪.৫ কোটি টাকা জমা হয়েছে। এসব লেনদেন সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ব্যাংকটি বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)কে বিষয়টি জানিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে।
মোবারক হোসেনের অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসারে, তার জমা এবং উত্তোলনের পরিমাণ প্রায় সবসময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তার অ্যাকাউন্টে তিনবারে ২.৬ কোটি টাকা জমা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আট বারে ৩ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই ধরনের লেনদেনের উৎস এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। যা আইনগত এবং আর্থিক দিক থেকে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
মোবারক হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার সময় তিনি জমি কেনাবেচা এবং শেয়ার ব্যবসার কথা বলেছিলেন। তবে কোনো সময় এসব লেনদেনের পেছনে অর্থের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। ব্যাংকটি জানায়, তাদের আগের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সন্দেহজনক লেনদেনগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো রিপোর্ট দেয়নি। যা ব্যাংকিং নিয়মাবলী ভঙ্গের শামিল।
অন্যদিকে, মোবারক হোসেন নিজে দাবি করেছেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি শফিক বিন আব্দুল্লাহকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। কারণ তখন ব্যাংকের কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল। এই বিষয়ে রাহাত খলিল (আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের আইনজীবী) জানিয়েছেন, তিনি ব্যাংকটির তারল্য সংকট সমাধানে টাকা ধার দিয়েছিলেন। তবে এই দাবি এবং লেনদেনের সত্যতা এখনও তদন্তাধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।