আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাহাড়ি এলাকায় ঘর। সেই ঘরে দুপুরে ঘুমাচ্ছিলেন মা-ছেলে। দেড় বছরের ছেলে ধ্রুবর হাত ধরেছিলেন ২১ বছর বয়সী মা গীথু। হঠাৎ ধস নামে পাহাড়ে। তার চাপায় সন্তানকে নিয়ে মা’রা যান গিথু। উদ্ধারকর্মীরা লা’শ উদ্ধার করে। তখনও শক্ত করে হাত ধরে আছেন নাড়িছেড়া ধনের।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বন্যাকবলিত রাজ্য কেরালায়। শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক এই দৃশ্যের মুখোমুখি হয় উদ্ধারকর্মীরা। বন্যাবিধ্বস্ত রাজ্যটিতে জীবন-মৃ’ত্যুর লড়াইয়ে কোলের সন্তানকে নিয়ে হেরে যান ওই মা।
কেরালার মালাপ্পুরম এলাকা থেকে ঠিক এই অবস্থায়ই মা এবং তাঁর সন্তানের ম’রদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকারী দলের বহু কর্মীর চোখে পানি এসে যায় এই ঘটনা দেখে। কোট্টাক্কুন্নু এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের ম’রদেহ। গত কয়েক দিনে লাগাতার ধস নেমেছে এই অঞ্চলে। দুদিন ধরে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
পুলিশ সূত্র উল্লেখ করে দেশটির গণমাধ্যম জানায়, মা-ছেলে দুপুরে ঘুমাচ্ছিল। দেড় বছরের ছেলে ধ্রুবর হাত ধরেছিলেন ২১ বছর বয়সী মা গীথু। ওই সময়ই পাহাড়ি এলাকায় আচমকা ধস নামে। মৃ’ত্যু হয় গিথু আর তাঁর কোলের সন্তানের।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা উদ্ধারকার্য চালানোর পর উদ্ধার হয় সারথের স্ত্রী গীথু এবং পুত্র ধ্রুবের দে’হ। উদ্ধারকারীদের কাছ থেকে জানা যায়, কাদাপানির ভেতর পাওয়া যায় তাঁদের ম’রদেহ। কিন্তু তখনও ছেলের হাত ধরেছিলেন মা।
অন্যদিকে, গীথুর স্বামী সারাথের দে’হ অক্ষত অবস্থায় মিললেও মা’রা গিয়েছেন সারাথের মা সরোজিনি। মালাপ্পুরমের কাছে কোট্টাক্কুন্নুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সারথের পরিবার। গত সপ্তাহে এই এলাকা প্রায় ধসের কবলে তছনছ হয়ে গিয়েছে। গোটা পরিবারকেই হারিয়ে ফেলেছে সারাথ।
সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।