জুমবাংলা ডেস্ক : রাতে ডিউটি শেষে সকাল ১০টায় সুমন বাসায় ফিরে দেখে স্ত্রী ও দুই কন্যার লা শ পড়ে আছে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। জানাচ্ছিলাম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মা ও দুই মেয়েকে জবাই করে নৃসংশভাবে হ’ত্যার ঘটনা। উৎঘাটিত হয়েছে হ’ত্যার রহস্য। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে হ’ত্যা ঘটনার বিস্তারিত জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, আটক আব্বাস উদ্দিন একজন ইয়াবা সেবনকারী এবং সে তার শ্যালক ও স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে দুই মেয়েসহ শ্যালিকাকে হ’ত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। আব্বাস উদ্দিনের স্বীকারোক্তি মতে, তার শ্যালক তাকে চড় মেরেছিলেন এবং তার স্ত্রী ও শ্যালক প্রায় সময়ই শ্যালিকা নাসরিনের বাসায় এসে সময় কাটাতো। সেই ক্ষোভ থেকেই আব্বাস উদ্দিন এই ‘হ’ত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এছাড়া আব্বাস কোনো কাজকর্ম করতো না। সারাদিন এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতো আর ইয়াবা সেবন করতো। তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করে তার খরচ চালাতো। এই কারণে স্ত্রীর গালমন্দ তাকে শুনতে হতো।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সি আর খোলা এলাকায় একটি ছয় তলা বাড়ির ষষ্ঠতলার ফ্ল্যাট বাসা থেকে পুলিশ আব্বাস উদ্দিনের শ্যালিকা নাসরিন, তার দুই শিশু কন্যা নুসরাত ও খাদিজার লা শ উদ্ধার করে। পুলিশ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ গলা কাটা অবস্থায় পায়। পরে ময়না তদন্তের জন্য ম রদেহগুলো সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।