এইতো কিছুক্ষণ আগেই লাশের সংখ্যা ছিল ১৪। এর পর আরো একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেড়ে হলো ২৫। তোলা হলো আরও ৯টি লাশ। এর কিছুক্ষণ পর জানা গেলো মোট ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি ছোট লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
কোস্ট গার্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, যে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এদের ২ জন শিশু, ৫ জন মহিলা ও ২৩ জন পুরুষ। অভিযুক্ত লঞ্চটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়েছে। সেটি উদ্ধার করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’।
ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিআইডাব্লিউটিএর সঙ্গে কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, কুমিল্লা ডক এরিয়ার পাশে লঞ্চটি ডুবেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়ূর ২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৭০ যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
এদিকে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা দিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭০/৮০ জন যাত্রী ছিলেন ওই লঞ্চে। এর মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যান প্রায় ৭০ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।