আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করায় দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। একইসঙ্গে দেশটিতে আপাতত কোনো উন্নয়ন সহযোগিতা না দেওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছে সংস্থাটি। খবর আল জাজিরার।
তবে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে ইইউ। কারণ হিসেবে সংস্থাটির পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ককে লক্ষ্যবস্তু করা হলে তা আসলে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে।
এদিকে রাশিয়ার বিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে কারাদণ্ড দেওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন রুশ কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।
জোসেফ বোরেল বলেন, ‘সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে রাজনৈতিক ভাবে একমত হয়েছি আমরা। একইসঙ্গে মিয়ানমারকে দেওয়া আমাদের সকল সরাসরি অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ থাকবে।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে দেশটির লাখ লাখ মানুষ সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। গৃহবন্দি নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছেন তারা। অভ্যুত্থানবিরোধীদের এই বিক্ষোভ দেশটির বড় বড় শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এই বিক্ষোভে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু, লেখক-কবি এবং পরিবহন শ্রমিকরাও যোগ দিয়েছেন। এরপর বিক্ষোকারীদের ওপর দমনপীড়ন শুরু করে সামরিক জান্তা সরকার। গত শনিবার মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে দু’জন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও ২০ জন।
সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লেইংসহ দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড। তবে দেশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ ও বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সত্ত্বেও বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে বার্মিজ জান্তা সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।