আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারতের মনিপুর রাজ্য।
সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিলেও, মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির বহু নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে আশ্রয় নেয় ভারতের মনিপুর রাজ্যে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে আসা এসব শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় মণিপুর রাজ্য সরকার।
তবে মঙ্গলবার, রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার সব ধরনের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচাতে এবার থাইল্যান্ড সীমান্তে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের নাগরিকদের। কিন্তু কাওকে সীমান্ত পার হতে দেয় নি থাই সীমান্ত বাহিনী। যারা সীমান্ত পার হয়ে গিয়েছিল তাদেরকেও ধরে পুশ ব্যাক করা হচ্ছে। ফলে মিয়ানমারের সেসব নাগরিক জীবন বাঁচাতে এখন আশ্রয় নিচ্ছে গহীন জঙ্গলে। এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা মিয়ানমারে বিমান হামলা শুরু করেছে। ধারাবাহিক বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। আশ্রয় নিতে থাই সীমান্তে ঢল নেমেছে মিয়ানমারের নাগরিকদের। তবে তাদের আশ্রয় দিতে নারাজ থাই কর্তৃপক্ষ। চোখ ফাকি দিয়ে যারাও ঢুকে পরেছিলেন ধরে ধরে তাদের আবার পুশ ব্যাক করা হচ্ছে।
জানা গেছে সেনাবাহিনী বোমা হামলায় রোববার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্য এখন পর্যন্ত ২০০৯ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। সীমান্ত পার হওয়া দের থাইল্যান্ড পুশব্যাক করার পর তারা সবাই এখন জঙ্গলের ভেতর আত্মগোপন করে আছেন।
কেএনইউ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক বোমা হামলা থেকে বাঁচতে থাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য সালউইন নদী পাড়ি দিয়েছে তিন হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ২০০০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড। অধিকার বিষয়ক গ্রুপ কারেন ওমেন্স অর্গানাইজেশন (কেডব্লিউও) কাজ করে কারেন রাজ্যে এবং থাইল্যান্ডের শরণার্থী ক্যাম্পে। সামরিক জান্তার বিমান হামলার কথা নিশ্চিত করেছে তারা। তাদের দাবি বিমান হামলার ফলে কারেন রাজ্যের ১০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছেন। তার মধ্যে তিন হাজার অবৈধ উপায়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।