আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনীকে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে বলে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের নেতাদের প্রতি “ঘৃণা বা অবজ্ঞা” দেখানো লোকদের জন্য জেলসহ ও জরিমানাও প্রযোজ্য হবে। বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়ি নামানোর পর এ আইনী পরিবর্তনগুলি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভ দমাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী সাঁজোয়া যান নামিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১টা থেকে ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তবে ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় সাঁজোয়া যানের উপস্থিতি স্বত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট দলে জড়ো হতে দেখা গেছে তাদের।
এ ছাড়া গতকাল রবিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। অভ্যুত্থানের পর টানা নবম দিনের মতো চলা বিক্ষোভে এই গুলির ঘটনা ঘটে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর আজ সোমবার দশম দিনের মত বিক্ষোভ করছেন বিক্ষোভকারীরা। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা এবং সেনা শাসনের অবসান চাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
ইয়াঙ্গুনে ইস্টার জে নাউ নামে একজন প্রতিবাদকারী বলেন, এটা আমাদের ভবিষ্যৎ এবং দেশের ভবিষ্যতের লড়াই। আমরা সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা একটি সত্যিকারের ফেডারেল রাষ্ট্র চাই, যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে।
রবিবার অভ্যুত্থানবিরোধীদের খুঁজে বের করতে নতুন করে কিছু আইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোনো পলাতক নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারেও নাগরিকদের সতর্ক করে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির রিমান্ডের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে সোমবার পর্যন্ত ধারণা করা হলেও তা বুধবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চির আইনজীবীর বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে রয়টার্স।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ। তখন থেকেই রিমান্ডে আছেন সু চি। ধারণা করা হচ্ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার এই রিমান্ড কার্যকর হবে। তবে সোমবার জানা গেল নতুন তথ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।