আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমার নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি। চীন সময় চেয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সু চির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
মিয়ানমার নিয়ে সরব হয়েছে জাতিসংঘ। সোমবারই (১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তনিও গুতেরেস টুইট করে বিশ্বের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
যদিও বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। চীন আরও সময় চেয়েছে।
এদিকে মিয়ানমার পুলিশ জানিয়েছে, অং সান সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। অং সান সু চির নেতৃত্বে দেশে যে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হয়েছিল, তা উৎখাত করে সেনাশাসন ঘোষণা করা হয়। আগামী অন্তত এক বছর এই ব্যবস্থাই চলবে বলে তারা জানিয়ে দেয়। সু চি সহ দেশের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, শেষ নির্বাচনে তিনি ব্যাপক কারচুপি করেছেন। তবে বাস্তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ভোটে কারচুপির মামলা করেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, তার বাড়ি থেকে ১০টি রেডিও পাওয়া গিয়েছে। বেআইনি ভাবে তা বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইনে মামলা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সু চির সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে।
মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব জাতিসংঘ। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে জাতিসংঘে বিশেষ বৈঠক বসে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তনিও গুতেরেস টুইটে লিখেছেন, সকলের এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত।
এদিনই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানে ঐক্যমত্য ভাবে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া যায়নি। কারণ, চীন সময় চেয়েছে। চীন সম্মতি না দিলে নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে রোহিঙ্গা নিধনের সময়েও মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছিল চীন এবং রাশিয়া। প্রকাশ্যে তারা মিয়ানমারের কাজকে সমর্থন করেছিল। এবার সেনা অভ্যুত্থানকেও তারা মান্যতা দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা হলেও, মিয়ানমারের সেনা প্রধানরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার আপাতত কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী অন্তত এক বছর দেশ সেনার অধীনে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।