মিয়ানমার-চীনকে নিয়ে জাতিসংঘে বসছে বাংলাদেশ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের লক্ষ্যে চীনের প্রতিনিধিসহ মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই নিউইয়র্কে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে। মঙ্গলবার এ কমিটির বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন ত্রিদেশীয় এই বৈঠক হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা যথেষ্ট নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি বলেছে, যেভাবে ডিপ্লোম্যাসি চালানো হচ্ছে তাতে হবে না। শরণার্থী সমস্যা বহু দেশে রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতেও অনেক তৎপরতা চালানো হয়েছে কিন্তু সমাধান হয়নি। এর জন জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে।

ফারুক খান বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের তাদের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ বিষয়ে অবহিত করেছেন। তারা জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদলতের (আইসিসি) মাধ্যমেও চেষ্টা করছে।

এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম নিয়ে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় পর্যায়ে তৎপরতা চালাতে কয়েকটি দেশ সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি। দুটি দলে ভাগ হয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্যরা ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সফর করবেন।

ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আব্দুল মজিদ খান, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে ছুটতে থাকে। কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। তাদের আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে; সেখানে আগে আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

এখন পর্যন্ত দুই দফা প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হলেও রোহিঙ্গাদের আপত্তির কারণে তা কার্যকর হয়নি। মিয়ানমারে এখনও তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।

Write a Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *