জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে (৬৫) হত্যা মামলার আসামি আবু হানিফ শেখ (৪৬) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার পারগুরুদাসপুর-কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পাশে অবস্থিত একটি কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ উপজেলার কালাকান্দর গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোয়ারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে ভাড়াটে খুনি আবু হানিফ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে পারগুরুদাসপুর এলাকায় মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পারগুরুদাসপুর-কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পাশে অবস্থিত কলাবাগানে অবস্থানরত পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় আসামি আবু হানিফ পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় পাইপগানসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য-এএসআই আবুল কালাম ও এএসআই রুবেল আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজহারুল ইসলাম জানান, হানিফের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার মরদেহ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে ঘরে ঢুকে উপজেলার পারগুরুদাসপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমকে (৬৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।