জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে দেলদুয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ঘটনার মূল অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মাসুদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জানা যায়, উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের সিংহরাগী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসার সময় বিরক্ত করতো। গত শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইলে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে আসতে বলে। ওই ছাত্রী তাদের বাড়ির সামনে গেলে মাসুদসহ মুখোশপরা আরও দুই যুবক তাকে নৌকায় তুলে নিয়ে সিংহরাগি বিলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
Read more
ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে তার মুখ চেপে ধরা হয়। ঘটনাটি কাউকে বললে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। বিষয়টি গত মঙ্গলবার রাতে তার বাবা মাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গেই দেলদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এরপর ওই ছাত্রীকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গতকাল বুধবার বিকেলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
ভুক্তভোগী বলে, ‘ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমার যারা ক্ষতি করছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’ তার মা বলেন, ‘আমি ওদের কঠিন বিচার চাই। বিচার দেখে এর পর যেন কোন মেয়ে আর ধর্ষণের শিকার না হয়।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমি কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবো? সমাজের মানুষই আমাকে কি বলবে? আমার এতো বড় ক্ষতি কিভাবে করলো? আমার একমাত্র মেয়ের যারা ক্ষতি করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. সদর উদ্দিন বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদকে গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার একদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন। অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।