জুমবাংলা ডেস্ক: সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্য সম্বলিত ২৭২টি অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইতোমধ্যে ১৫ টি ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে বিটিআরসি।
মঙ্গলবার মুরাদ হাসানের আপত্তিকর বক্তব্য ও অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ভার্চুয়াল প্লাটফরম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আজকের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।
মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সুমন।
বুধবার আদালতকে এ বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
আইনজীবী রাকিবের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও ইউটিউবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মুছে ফেলা হয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে অন্যান্য অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিটিআরসি।
এ ছাড়া এমন বক্তব্য ছড়ানো আরও ২০০টি সাইট চিহ্নিত করেছে ফেসবুক। যা তারা নিজেরাই বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিষয়গুলো অনেকটা টেকনিক্যাল হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান ভিডিও ও অডিও সরাতে সবকিছু যাচাই-বাছাই করছে বলেও জানান এই আইনজীবী।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এগুলো সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই আলোকে মুরাদের ‘অশালীন বক্তব্য সম্বলিত’ অডিও-ভিডিও সরানোর অগ্রগতি জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে পত্র পাঠান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। রাতে সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
বিএনপির এক শীর্ষ নেতার মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই ডা. মুরাদ হাসানের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপের ওই অডিওতে মুরাদ হাসানকে অশ্লীল কথাবার্তা ও নায়িকাকে ধ’র্ষণের হুমকি দিতে শোনা যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার।
এর পর সোমবারই মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন মুরাদ।
বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন মুরাদ হাসান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।