স্পোর্টস ডেস্ক: একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনে মিরপুর হোম অফ ক্রিকেট শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৮১ রান। টাইগারদের লিড ২২১ রানের। উইকেটে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম (১৬৪) এবং লিটন দাস (৩২)।
৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও থেমে থাকেননি। ব্যাট চালাতে থাকেন শতকের দিকে।
ইনিংসের ৮৩ তম ওভারে ত্রিপানোর করা তৃতীয় বলটিকে চারে পরিণত করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম শতক। তার ক্যারিয়ারের এই ৯টি সেঞ্চুরির সবগুলোই দেশের মাটিতে। এর ভেতর ৬টি শতকই তিনি হাঁকিয়েছেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি ৩টি মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।
দলপতির চলা পথে হাঁটলেন মুশফিকও। লাঞ্চ থেকে ফিরেই দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এনডিলোভুকে অফ সাইডে চার মেরে তুলে নেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে এটি তাঁর সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর এটি দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শতকের দেখা পেলেন তিনি।
শেষবার ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তিনি খেলেছিলেন ২১৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ম্যাচ হিসেবে ৬ এবং ইনিংসের হিসাবে ১১ ইনিংস পর পেলেন তিনি শতকের দেখা।
সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন মুশি। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে বড় লিডের ইঙ্গিত দিতে থাকেন সফররত রোডেশিয়ানদের। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন এনডিলোভু। মুমিনুল হককে ১৩২ রানে ফিরিয়ে ভাঙেন বাংলাদেশের ২২২ রানের চতুর্থ উইকেটের জুটি।
বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন মিঠুনও। এনডিলোভুর তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফিরে যান তিনি ২৩ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে।
কিন্তু উইকেট কামড়ে ধরে বসে থাকেন মুশফিকুর রহিম। ১৫০ রান করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট ছুটছেন ডবল সেঞ্চুরির দিকে। এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার, মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেলর ১০, সিকান্দার রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১ ও তাইজুল ২/৯০)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৮৬/৫ (১৪০ ওভার, সাইফ ৮, তামিম ইকবাল ৪১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭১, মুমিনুল হক ১৩২, মুশফিক ১৬৪*, লিটন দাস ৩২*; আইন্সলে এনডিলোভু ২/১১২)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।