স্বাস্থ্য ডেস্ক : বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশে ২ কোটি। অকারণে এবং অতিরিক্ত ডোজে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলাফল স্বরুপ ২০৫০ সাল নাগাদ এ ঝুঁকি আরও বাড়বে।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ- আইসিডিডিআরবি পশুসম্পদ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আরো কতিপয় সংস্থার সহযোগিতায় সেমিনারটি আইসিডিডিআরবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ ও প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং প্রাণিখাদ্য ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে গবাদিপশু ও কৃষিপণ্যের উৎপাদন, যা জুনোটিক প্যাথোজেন্স সৃষ্টির প্রধান ক্ষেত্র। এর ফলে এখানে সংক্রামক ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে, যা থেকে মানব স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স পাওয়ারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সেমিনারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সরকারগুলোকে আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার সীমিত করে আনতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।