লাল শাড়ি পরে স্বামীর হাত ধরে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাসলিমা বেগমের। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, স্বামীর সঙ্গে ঘর বাঁধা হলো না এ নববধূর। একটু একটু করে গড়তে থাকা স্বপ্ন ভেসে গেল মেঘনায়!
মঙ্গলবার হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় নববধূ তাসলিমা ও তার দাদীসহ নিহত হন সাতজন।
হাতিয়ার কেয়ারিংচর থেকে ৮০-৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে ডালচর যাচ্ছিলো ট্রলারটি। কিন্তু সেটি যখন মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচর এলাকায় পৌছায়, তখনই জোয়ারের মুখে পড়ে। স্রোতের তোড়ে ধীরে ধীরে ডুবে যায় নৌযানটি। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় প্রশাসন।
ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে কয়েকজন সাঁতরে কূলে উঠলেও বেশিরভাগ যাত্রী নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে তাসলিমা কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যায়। তার পরনে থাকা লাল শাড়ি দেখে সহজেই তাকে উদ্ধার করা গেছে। সঙ্গে তার দাদীর লাশও পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এরা হচ্ছেন কনে তাসলিমা বেগম (২২), তার দাদী নুর জাহান (৭০), রায়হেনা বেগম (৩০), আসমা বেগম (২৬) তার মেয়ে লামিয়া (২), লিলি আক্তার (৮) ও হোসনে আরা বেগম রুপা।
এখন পর্যন্ত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। এরা হচ্ছেন- জাকিয়া বেগম (৫৫), হাছিনা (৭), নারগিস বেগম (৪), হালিমা বেগম (৪), লামিয়া (৩), নিহা (১), আমির হোসেন (২) ও আলিফ (১)।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ডুবো চরের সঙ্গে ট্রলারটির ধাক্কা লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারের যাত্রীরা সবাই স্থানীয় নলের চরের ইব্রাহিম সদগারের মেয়ের বিয়ের বরযাত্রী ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।