জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিতব্য সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। পরীক্ষার দিন মন্ত্রণালয়, অধিদফতরের কর্মকর্তা, বিএমএ নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যারা পরীক্ষার হল পরিদর্শনে যাবেন তাদের নিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আজ (বুধবার) এক জরুরি সভা স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, সভায় উপস্থিত সকলকে পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে কী কী বিষয় দেখতে হবে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান ও বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করা হয়। সভায় বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আট পৃষ্ঠার সেলাই করা খাতায় পরীক্ষা নেয়া হলেও এবারই প্রথম মাত্র দুই পৃষ্ঠার খাতায় পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রশ্নপত্রও অন্যান্যবারের মতো প্রেসে ছাপা হচ্ছে না। বিশেষ ধরনের সফটওয়্যারে প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক প্রশ্ন ছাপা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে যানজট, ঝড়বৃষ্টি ও দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। দেরি হলে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরেক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষার দিন অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার আগে কেন্দ্রে প্রবেশপত্র এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রিফিল দেখা যায় এমন কালো বলপেনসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এবং ঘড়ি ও মোবাইলসহ কোনোরকম ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আগামী ১১ অক্টোবর দেশব্যাপী একযোগে ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছর সরকারি চার হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ছয় হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষা হবে।
এসব আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় সাত হাজার ৯ জন বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।