স্পোর্টস ডেস্ক : বর্তমান ফুটবল দুনিয়ার অন্যতম সফল স্ট্রাইকার লিওনেল আন্দ্রেস মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে ১৯৮৪ সালের ২৪ জুন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মেসির বাবা জর্জ ছিলেন পেশায় একজন স্টিল কারখানার শ্রমিক। পাশাপাশি স্থানীয় ফুটবল টিমের কোচও ছিলেন তিনি। মেসির ফুটবলের প্রতি অনুরাগের অন্যতম কারণ ছিলেন তার বাবা।
যে মানুষটার ভক্ত আজ বিশ্ব জুড়ে, মাত্র ১১ বছর বয়সেই ‘গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি’ নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, যা সাময়িকভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছিল তার ফুটবল খেলার স্বপ্ন। ছিল প্রাণ সংশয়ও।
এই রোগের চিকিৎসার জন্য মাসে তখন খরচ পড়ত প্রায় ৯০০ ডলার। তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব ছিল না। সেই সময় তিনি নিউএল ওল্ড বয়েজ নামে যে স্থানীয় ক্লাবে খেলতেন, তারাও এই খরচ বহন করতে অস্বীকার করেন।
তার খেলায় মুগ্ধ হয়ে বার্সার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস মেসির চিকিৎসার যাবতীয় খরচ দিতে রাজি হন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে কাছাকাছি কোন কাগজ না থাকায় একটি টিস্যু পেপারে তার সঙ্গে চুক্তি সই করেন কার্লেস। তখন থেকেই সূত্রপাত বার্সা আর মেসির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের।
২০০৫ সালে মেসি প্রথম বার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামলে মাত্র ৪৭ সেকেন্ডের ভিতর লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ফুটবলারের ঝুলিতে রয়েছে পাঁচ টি ব্যালন ডি ওর। গোল্ডেন বুট জিতেছেন ছয়টা।
আর্জেন্টিনা এবং স্পেন এই দুই দেশেরই নাগরিক তিনি। ২০০৫ সালে তাঁকে স্পেনের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।