স্পোর্টস ডেস্ক : লুসাইল স্টেডিয়ামের আলো-আঁধারির মধ্যে একমাত্র দ্যুতির বিচ্ছুরণ ছিল মেসির ওপর, যখন তিনি তার অলঙ্কৃত ক্যারিয়ারের একমাত্র অধরা পুরষ্কারটি অবশেষে হাতে নেন।
আরবদের ঐতিহ্যবাহী আলখাল্লা গায়ে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন যাদুকর তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আরাধ্য পুরষ্কারটি হাতে নেয়ার আগে মধুর অপেক্ষায় দুহাত ঘষছিলেন।
অবশেষে বিশ্বকাপ ট্রফিটি যখন তিনি তুলে ধরেন, তখন স্টেডিয়ামজুড়ে শুরু হয় নানা রঙের চোখ ধাঁধানো আলোর খেলা।
মেসি তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তার বর্ণাঢ্য সংগ্রহশালায় যে একটিমাত্র কমতি ছিল, সেটি অর্জন করলেন ইতিহাসের সবচেয়ে দর্শনীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে।
সাতটি ব্যালন ডি’অর, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, একটি কোপা আমেরিকা, বার্সেলোনার হয়ে দশটি স্প্যানিশ লিগ শিরোপা ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে জেতা একটি ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপার সাথে এবার বিশ্বকাপটিও রাখতে পারবেন তিনি।
আর এই বিশ্বকাপটিই নিঃসন্দেহে সবগুলোর সেরা পুরষ্কার। মেসিই যে সর্বকালের সেরা, সেই বিতর্কের মীমাংসায় তার কোটি কোটি ভক্ত এই ট্রফিটিকেই ‘প্রধান বিবেচ্য’ হিসেবে তুলে ধরবেন এখন থেকে।
খাঁটি সোনায় তৈরি প্রায় ১৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এই ট্রফিটির জন্যই অসংখ্য মানুষ নিঃসন্দেহে মেসিকে সর্বকালের সেরার স্বীকৃতি দেবে – আর তাদের বিপরীতে যারা থাকবেন, তাদের নিজেদের যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করা এখন আরো এক ধাপ কঠিন হয়ে যাবে।
প্রত্যেক প্রজন্মেই খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা হয়ে আসছে, যা তর্ক-বিতর্ককে ভিন্ন একটি মাত্রা দেয়। কিন্তু মেসি যে নিজেকে পেলে ও আরেকজন গ্রেটের কাতারে নিয়ে গেছেন – যার ছবি রবিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে বহু আর্জেন্টাইনের হাতে থাকা ব্যানারে শোভা পাচ্ছিল – তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
নিঃসন্দেহে আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সির মেসির পূর্বসূরি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরার তকমা দেয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ ছিল।
প্রধান যুক্তিটি ছিল ৩৬ বছর আগে মেক্সিকোতে হওয়া বিশ্বকাপের শিরোপাটি, যেটি মেসির এতদিন ছিল না। সেই যুক্তিটি এখন আর প্রযোজ্য নয়।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।