জুমবাংলা ডেস্ক : গৃহকর্মী সাবিনাকে বলা হয় বাসায় আসা মেহমানদের জন্য নাস্তা তৈরি করতে। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাস্তা বানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর সেই মেহমান চলে গেলে সাবিনার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। একপর্যায়ে হত্যা করা হয় তাকে। পরে সেই লাশ লাগেজে ভরে ফেলে আসা হয় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে। আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের জবানবন্দির ভিত্তিতে এসব তথ্য জানান।
গেল বছরের ৯ নভেম্বরে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সড়কের পাশে লাগেজের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করলো পিবিআই ময়মনসিংহ। সেখান থেকেই জানা গেল এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ ঘটনায় গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অপরাধীও।
পিবিআই ময়মনসিংহের এসপি গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, গত ৯ নভেম্বর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুরে লাল এক লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয় নারীর লাশ। পরে এ ঘটনায় তদন্তে নামে পিবিআই। শনাক্ত হয় সদরের ঘাগড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাবিনার লাশ এটি। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন ময়মনসিংহ শহরের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলায় ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়েরের বাসায়। সেখানেই হত্যা করা হয় সাবিনাকে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিনকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।