দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পর মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণের বিরোধিতা করছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন। এমনকি মোদির আসা প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম ভিত্তিক দলগুলো। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মোদিকে অনেক আগেই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোদিকে অনুষ্ঠানের সবচেয়ে সম্মানিত অতিথি উল্লেখ করে তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মোদির আগমন নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি এখনো দেওয়া হয়নি। তবে দলের বেশ কয়েকজন নেতা মোদির আগমনের বিরোধিতা করেছেন।
সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষে আসার জন্য তিনটি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপি নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ শর্ত দেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় এক নেতাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না, এর কারণ হলো বিচারকরা। বিচারকরা বর্তমানে ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে গেছেন। ফুটবল খেলোয়াড়রা দলীয় লেবাস ধরে, বিচারকরা দলীয় লেবাস ধরছেন না তবে দলীয় কাজ করেন। বিচারকদের কাজ সরকারের মনোরঞ্জন করা নয় কিন্তু তারা তাই করছেন।
তিনি বলেন, এই মার্চেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি তোমাদের লোক, আমি বাংলাদেশের লোক। আমাদের বর্তমান সরকার বলছে আমরা ভারতের লোক। ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী- যার ভারতের নাগরিকত্বের কাগজ নেই সে মোদিকে নিয়ে আসবে। তবে মোদি বাংলাদেশে এলে তাকে তিনটি শর্ত মানতে হবে। তা হলো- ফেলানী ও সীমান্তে মানুষ হত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ভারতের হাইকমিশনের সামনের রাস্তার নাম হবে ফেলানী রোড। আমরা যে পানির হিস্যা পাচ্ছি না সেই পানি দিতে হবে।
ভারতের বর্তমান সহিংসতার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভারতে কী হচ্ছে আমরা জানি। দিল্লিতে কী হচ্ছে আমরা জানি। একটা টুইট লেখার কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশের ছাত্রকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি কী করে মুজিববর্ষে প্রধান অতিথি হতে পারে? এটা হাসিনার পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এ বিবেচনা না করলে বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই কবরে বসে কাঁদবেন। বলবেন এভাবে তাকে অপমান করার অধিকার বাংলাদেশ সরকারের তো নেই, আমাদের নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।