আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে বাসায় এনে ২৩ শিশুকে অপহরণ করেছে এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় অপহরণকারী ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল গ্রামবাসী।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে এক অপহরণকারী ২৩ শিশুকে বন্দি করে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর শিশুদের উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহতের নাম সুভাষ বাথাম। তিনি প্যারোলে মুক্তি পাওয়া খুনের আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, সুভাষ বাথাম নামে ওই ব্যক্তি যে ঘরে শিশুদের বন্দি করে রেখেছিলেন, সেখানে তার নিজের এক বছরের মেয়ে এবং স্ত্রীও ছিল।
ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুভাষ বাথামের স্ত্রীকেও ব্যাপক মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
তবে নিহত সুভাষ বাথামের স্ত্রী শিশুদের বন্দি করে রাখার পরিকল্পনায় স্বামীর সহযোগী ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
খবরে বলা হয়, ২০০১ সালে প্যারোলে মুক্তি পান হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সুভাষ। তার পর থেকেই তিনি নাকি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
বৃহস্পতিবার সুভাষ বাথাম নিজের এক বছরের মেয়ের জন্মদিন উদযাপনের অজুহাতে গ্রাম থেকে কিছু শিশুকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন।
তার পর ওই শিশুদের নিজের ঘরে ঢুকিয়ে বন্দুক তাক করে তাদের আটকে রাখে সেখানে। সেই সময় ওই ঘরের মধ্যেই ছিল তার নিজের মেয়ে ও স্ত্রীও।
অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও বাচ্চারা ঘরে ফিরছে না দেখে, প্রতিবেশীরা সুভাষের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। তখন আসল ঘটনা বুঝতে পারেন তারা। এর পরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।