জুমবাংলা ডেস্ক : বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটিই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কিশোরীর। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি। বর্তমানে বাসাজুড়ে শুধুই শূন্যতা। চারদিকে পিনপতন নীরবতা। খাটে বসে আছেন তিনদিন আগে মারা যাওয়া আনুশকাহ নূর আমিন নামে ওই কিশোরীর বাবা।
রোববার সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় আনুশকাহ’র বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘটনার দিন ঠিক ১২টা ১৯ মিনিটে আমার মেয়ের নম্বর থেকে কল আসে। আমি মিটিংয়ে থাকায় ফোনটা কেটে দেই। এরপর আর ফোন করেনি। তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রীর ফোনে কল আসে। ফোন করে আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। প্রথম ফোনটা না ধরাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।
তিনি বলেন, মনে হয় আমার মেয়েকে যখন জোরজবরদস্তি করা হচ্ছিল, তখনই সে আমকে ফোন করেছিল। আমি যদি ফোনটা ধরতে পারতাম, তাহলে বিষয়টা এত দূর গড়াত না। পরে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। তবে সেটা হাসপাতাল থেকে নাকি ওই বাসা থেকে এটা আমরা জানি না। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা আমাকে বলেন, ‘মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে’।
আনুশকাহ’র বাবা আরো বলেন, আমার মনে হয়, এমনও হতে পারে, ও কোচিংয়ে যাচ্ছিল। তখন ওই ছেলেরা রাস্তায় তাকে বাধা দেয়। তখন আমাকে আমার মেয়ে ফোন করে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগানের ডলফিন গলিতে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকাহকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহানসহ তিন তরুণকে। এরই মধ্যে ধর্ষণের সঙ্গে একাই জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে গত শুক্রবার জবানবন্দি দিয়েছে ইফতেখার ফারদিন দিহান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।