জুমবাংলা ডেস্ক: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় রাতের খাবার খেতে গিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের লাঠির আঘাতে গুলজাহান বেগম (৫৫) নামের এক মায়ের মৃত্যু হয়েছেন।
তিনি উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল দক্ষিণ পাড়া (কুড়ের পাড়) গ্রামের আক্তার মিয়ার স্ত্রী।
গতকাল সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত রোববার উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল দক্ষিণ পাড়া (কুড়ের পাড়) গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, খাদেজা বেগম গত ৫ বছর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী ও স্বামী চলে যাওয়ায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলের। গত রোববার এশার নামাজের আগে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য মা গুলজাহান বেগমকে ডেকে নিয়ে আসে চতুর্থ মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী খাদেজা বেগম (২৪)। এসময় ছোট মেয়ে সাদেকা বেগম খাদেজা বেগম ও গুলজাহান বেগমকে খাবার খেতে দেয়।
এসময় হঠাৎ করে খাদেজা কাঠের লাঠি নিয়ে তার মায়ের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে জখম করে। এ সময় ছোট মেয়ে সাদেকা চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশিরা এসে গুলজাহান বেগমকে উদ্ধার করে রাতেই চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। এরপর সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানিয়েছেন, খাদেজা বেগম গত ৫ বছর ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী ও তার লাঠির আগাতে ওই মহিলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এ ব্যাপারে কোন লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।