রাজীব আহাম্মদ : দেশেই উৎপাদন, দেশেই সংযোজন। দাম কম থাকায় মোটরসাইকেল হয়ে উঠেছে সহজলভ্য। সাধারণ মানুষ এই দ্বিচক্রযান কিনছে বেশ। এর মাধ্যমে হচ্ছে কর্মসংস্থান। এ সবকিছুই হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার কল্যাণে। অন্যদিকে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ঘন ঘন ঘটছে দুর্ঘটনা; বাড়ছে প্রাণহানি। এর মাঝেই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। একদিকে মোটরসাইকেলের বাজার, অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণ– এ নিয়ে সরকারের ‘শাঁখের করাত’ পরিস্থিতি।
তবে নিয়ন্ত্রণের পক্ষে নন বিনিয়োগকারী ও উৎপাদকরা। মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়ার আগে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি। বিধিনিষেধ এলে ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
এদিকে মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার যে নীতিমালা করতে যাচ্ছে, তা থেকে সরে আসার দাবি জানিয়ে কয়েকশ বাইকার গতকাল বুধবার রাজপথে নামেন। তাঁরা বলছেন, এই নীতিমালা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটরসাইকেল চলাচলে নিয়ন্ত্রণের নামে দেশের অর্থনীতি, অগ্রগতি রোধ করার চেষ্টা চলছে।
বাড়ছে ব্যবসার পরিধি ও কর্মসংস্থান: বিআরটিএর পরিসংখ্যান বলছে, গেল এক যুগে গড়ে প্রতিবছর পৌনে ৩ লাখ মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে। করোনার কারণে ২০২০ ও ’২১ সালে কমলেও প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে বাড়ে কেনাবেচা। গত বছর ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে, বছরে প্রায় সাত লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদিত হয়। প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় এ খাতে। মোটরসাইকেল শিল্পের ৩০ শতাংশে রয়েছে দেশীয় অবদান। উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল বিদেশে রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছেন দেশীয় উৎপাদকরা। বিদেশ থেকে ইঞ্জিন আমদানি হলে চেসিসসহ বাকি যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি হয়। বিভিন্ন ভেন্ডার গড়ে উঠছে এই শিল্পের সহযোগী হিসেবে।
মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান জানান, উত্তরা মোটরসের প্রতিটি লাইনে ৬০০ কর্মী কাজ করেন। আট লাইনে প্রায় পাঁচ হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ডিলার, বিক্রেতা, মেরামতকারীসহ পরোক্ষভাবে আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আটটি কোম্পানি মিলিয়ে তৈরি হয়েছে লাখখানেক মানুষের কর্মসংস্থান।
দুর্ঘটনাও বাড়ছে : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, গত বছর ২ হাজার ৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯১ জন, যা মোট প্রাণহানির প্রায় ৪০ শতাংশ। ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনায় ছিল মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রায় ২১ শতাংশ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা ছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ।
২০১০ সালে সারাদেশে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৪০ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬৯টি। সে হিসাবে ১২ বছরে ছয় গুণ হয়েছে মোটরসাইকেল। ২০২২ সালে নতুন ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে।
২০১০ সালে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৭৯টি। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ২৩ হাজার। ঢাকায় মোট যানবাহনের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৫৮। অর্থাৎ যানবাহনের ৭১ শতাংশই মোটরসাইকেল।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদীউজ্জামান বলেন, মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে দুর্ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। জাপান মোটরসাইকেলের উদ্ভাবনকারী দেশ। তবে সেই দেশে এত মোটরসাইকেল নেই; সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত।
একদিকে বন্ধের প্রস্তাব, অন্যদিকে শিল্প বাড়ন্ত : দুর্ঘটনা রোধে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) গত বছর মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বৈঠকে প্রস্তাব উঠলেও অনুমোদন পায়নি। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা করতে কমিটি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ৯ সদস্যের কমিটি ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া করেছে।
মোটরসাইকেল আগে আমদানি করা হতো। ২০১৮ সালে ‘মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা’ করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এক যুগ আগে আমদানি করা যে মোটরসাইকেল দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন অর্ধেক দামে মিলছে ২০১৮ সালের নীতিমালায় শুল্ক ছাড় দেওয়ায়।
মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিউর রহমান জানান, বিদেশি কোম্পানি হোন্ডা, ইয়ামাহা, সুজুকি, বাজাজ, হিরো, টিভিএস বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। কারখানা তৈরি করেছে। দেশেই মোটরসাইকেল উৎপাদন হচ্ছে। দেশি প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটরস, ওয়ালটন মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। নীতিমালায় কর ছাড় ও প্রণোদনার কারণে দেশি-বিদেশি আটটি প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আরও কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে পাইপলাইনে। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা হলে নতুন বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে।
১০ বছরের জন্য নীতিমালা হয়েছিল জানিয়ে মতিউর রহমান আরও বলেন, এই পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ এলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে খারাপ বার্তা যাবে। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা নীতি নেই– এমন আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা আসবে না।
কী আছে নিয়ন্ত্রণ নীতিমালায় : মোটরসাইকেলকে স্পোর্টি ও স্কুটি– দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। স্পোর্টির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল, যার আসন গতির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষায় কৌণিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে। স্কুটির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, আরামদায়ক, জ্বালানি সাশ্রয়ী, কম গতিসম্পন্ন এবং সহজে নিয়ন্ত্রণ উপযোগী মোটরসাইকেল।
নীতিমালার ৩(২) ধারায়, মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার এবং অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া। ৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, স্কুটি মোটরসাইকেল জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে উৎপাদন, সংযোজন, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক সুবিধা দেওয়া। স্পোর্টি মোটরসাইকেলে শুল্ক বাড়ানো। ৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করতে স্কুটির বিষয়ে প্রচার করা।
৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। খসড়া নীতিমালার বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় বলা হয়েছে, মহাসড়কে ১২৬ সিসির কম ক্ষমতার মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। মহাসড়কে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের মোটরসাইকেলে আরোহী করা যাবে না।
মোটরসাইকেল বিক্রির সময় ক্রেতাকে বিএসটিআই অনুমোদিত দুটি হেলমেট নিতে হবে। ঈদ ও দুর্গাপূজার মতো উৎসবের আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমান বলেছেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অংশীজনের সঙ্গে সভা হবে। তাঁদের মতামত নিয়ে খসড়া চূড়ান্ত করতে মন্ত্রণালয়ে সভা হবে। এর পর মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।
আপত্তি কোথায় : উৎপাদকদের আপত্তি স্কুটিতে। উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে স্কুটি তৈরি হয় না। চীন, ভারত থেকে আমদানি হয়। যদি খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী স্পোর্টি মোটরসাইকেলে শুল্ক বাড়ে, তাহলে উৎপাদনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মতিউর রহমানের দাবি, স্কুটি বেশি অনিরাপদ। তিনি বলেন, স্কুটির ইঞ্জিন থাকে পেছনে। ব্রেক করলে স্কুটি উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্পোর্টি মোটরসাইকেল সেই তুলনায় নিরাপদ।
শহরের মধ্যে ৩০ কিলোমিটারের গতির নিয়মের সঙ্গেও একমত নয় অ্যাসোসিয়েশন। মতিউর রহমান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার গতিও এর চেয়ে বেশি। ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালালে দুর্ঘটনা বাড়বে। রাস্তায় যে গতি নির্ধারিত; মোটরসাইকেল তা না মানলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।
সড়ক পরিবহন আইন ও বিধিমালায় গাড়ির গতি নির্ধারণ করা নেই। মহাসড়কে সর্বোচ্চ নির্ধারিত গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। রাজধানীর ক্ষেত্রে সড়কভেদে ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। আনিসুর রহমান জানান, সড়ক ও যানবাহনভেদে গতি নির্ধারণের কাজ চলছে। শহরে মোটরসাইকেলে ৩০ কিলোমিটারের গতিসীমা কার্যকর করার বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, পুলিশের কাছে গতি নির্ধারণের যন্ত্র থাকবে। গতিসীমা লঙ্ঘনের শাস্তি সড়ক পরিবহন আইনে নির্ধারণ করা আছে।
উৎসবের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের প্রস্তাবেও একমত নয় অ্যাসোসিয়েশন। মতিউর রহমান বলেন, এতে পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বাড়বে। অল্প বয়সীরা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে– এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তা পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
কিছু নিয়মে একমত: নীতিমালার খসড়ায় মোটরসাইকেল চালকদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় রেট্রোরিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার, ক্রেতাকে নিরাপত্তা ম্যানুয়াল সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। মতিউর রহমান বলেন, মহাসড়কে ১২৬ সিসির কম সক্ষমতার মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের প্রস্তাব ভালো। উচ্চক্ষমতার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ ভালো; তা অন্তত বুঝতে পেরেছেন।
মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ না বসাতে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন বিভাগের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেছে অ্যাসোসিয়েশন। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রির নিয়ম সংগঠনটির দাবিতে শিথিল হয়। বৈঠকে সংগঠনটি বলেছে, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল কী করে আরও সুশৃঙ্খল করা যায়; চালকদের কীভাবে আরও নিয়মানুবর্তী করা যায়; তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
নীতিমালা থেকে সরে আসার দাবি: মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার যে নীতিমালা করতে যাচ্ছে, তা থেকে সরে আসার দাবিতে গতকাল বুধবার মানববন্ধন করেছেন কয়েকশ বাইকার। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, নীতিমালার খসড়ায় অনেক অসংগতি রয়েছে। দাবি আদায়ে আগামী ৫ মার্চ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
বাইকাররা বলেন, সাইকেল ও রিকশার গতি ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলের মতো বাহনের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ গ্রহণযোগ্য নয়। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।