জুমবাংলা ডেস্ক : ঘটনার এক বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫) হত্যারহস্যের জট খুলেছে পিবিআই। মোবাইল চুরি দেখে ফেলায় খুন করা হয়েছে তৌহিদুলকে।
এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার বিকেলে দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ফিন্যান্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খান বসবাস করতেন ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দি তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার একটি মেসে। নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে তৌহিদুলকে গত বছরের ১ মে রাতে সেহরির সময় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর এ ঘটনায় পুলিশ গোহাইলকান্দি এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে আশিকুজ্জামান আশিককে গ্রেপ্তার করলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় সে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলাটি দুই মাস তদন্ত করে এক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। কিন্তু নিহতের বাবা সাইফুল ইসলামের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির অধিকতর তদন্তভার পায় পিবিআই।
দায়িত্ব পেয়েই পিবিআই সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নগরীর জামতলা পোড়াবাড়ি এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে মো. রিফাত (২৩) ও আউটার স্টেডিয়াম এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মহসিন মিয়াকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত ও মহসিন পিবিআইকে জানায়, রংমিস্ত্রি রিফাত, আশিক, মহসিন ও অন্তর একসঙ্গে চলাফেরা করত। গত বছরের ১ মে রাতে তারা মহসিনের বাসায় ইয়াবা সেবন করে। আশিক তাদের ইয়াবা খাওয়া শেখায়। ইয়াবা খাওয়া শেষ হলে আশিক একটি মোবাইল ফোন চুরির পরিকল্পনা করে। এর পর তিনজন মিলে তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার সোলায়মানের বাসায় যায়। ওই বাসার নিচতলার মেসের রুমে তৌহিদুল তখন সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জানালা দিয়ে স্মার্টফোনটি নেওয়ার সময় তৌহিদুল তাদের দেখে ফেলে। তখন মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে তিনজনের একজনকে জাপটে ধরে তৌহিদুল। এ সময় আরেকজন দেড় হাত লম্বা লোহার রড দিয়ে তৌহিদুলের বুকে আঘাত করে।
শনিবার রিফাতকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন। তিনি বলেন, অপর আসামি মহসিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল হত্যা মামলার তদন্তভার পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।