আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রবল তুষারপাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কাশ্মীরে। বাজারে মিলছে না মোমবাতিও। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত অন্ধকারে ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার থেকে তুষারপাত শুরু হয় কাশ্মীরে। প্রায় ছয় ফুট পুরু বরফের নিচে চলে গিয়েছে কোনো কোনো এলাকা। এতে ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো। রাস্তায় রাস্তায় ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
স্থানীয়দের দাবি, প্রথম দু’তিন দিন পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপই চোখে পড়েনি। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। রাজধানী শ্রীনগরে ৬০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে প্রবল ঠাণ্ডা ও বিদ্যুতের অভাবে নাজেহাল অবস্থা অঞ্চলটির মানুষদের। বাজারে মোমবাতি, এলপিজি কয়েলেরও সংকট দেখা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে কাশ্মীরে এখনো নতুন রসদ সংগ্রহ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তা ছাড়া নভেম্বরের শুরুতেই এমন তুষারপাতের পূর্বাভাসও দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, শীতে ঘর গরম রাখার জন্য কাশ্মীরিরা যে পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে রাখেন, সেই কাংরিও এখনো বাজারে আসেনি।
খানিয়ার এলাকার বাসিন্দা শেখ ইরান বললেন, ‘কাশ্মীরে বুখারি নামে এক ধরনের হিটারের চল আছে। সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। কয়লার দোকানও বন্ধ।’
উপত্যকার সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগের অন্যতম পথ জম্মু-শ্রীনগর সড়কও গত কাল থেকে ধসের ফলে বন্ধ।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ‘আগে তুষারপাত আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি জানাতাম আমরা। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বা মেহবুবা মুফতির উদ্দেশেও কড়া মন্তব্য করতেন অনেকে। কিন্তু এখন প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর রাস্তাও বন্ধ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।