স্পোর্টস ডেস্ক : নয় রানে জীবন পেয়ে সেঞুরি। মঙ্গলবার এজবাস্টনে দিল্লি কতদূর বাংলাদেশি বোলারদের বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। নিজের ব্যক্তিগত নয় রানের মাথায় সুযোগ পেয়ে বাজিমাত দেখান ভারতীয় ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বল ডিপ স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেও তামিমের ব্যর্থতায় প্রাণপনে রক্ষা পান। পরবর্তী সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলে নেন আসরের চতুর্থতম সেঞ্চুরি। সে সঙ্গে গড়েন চোখ ধাঁধানো বিশ্বরেকর্ড।
ইতিহাস বলছে, এ যাবৎকাল বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্য কোন ব্যাটসম্যান ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেনি। সর্বোচ্চ তিনটি হাঁকিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেটি করে দেখিয়েছেন রোহিত শর্মা। সে সঙ্গে চলতি আসরে সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
সে সুবাধে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ম্যাচ সেরার’ পুরস্কার জিতেন রোহিত। আর পুরস্কার নিতে এসে ব্যাখ্যা করেন বড় ইনিংস এবং রান পাওয়ার পেছনের রহস্য। মূলত তিনি তার বক্তব্যে বলতে চেয়েছেন, এজবাস্টনের উইকেটে টিকে থাকাটাই বড় ব্যাপার। এখানে টিকতে পারলে পরবর্তী অটোমেটিক রান আসা শুরু করে। আর তিনি টিকেছেন বলেই রান এসেছে।
লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, গতকালকের ম্যাচে একমাত্র সাকিব ছাড়া বাংলাদেশর স্বীকৃত কোন ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে কারিশমা দেখাতে পারেনি। আশা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন তারা। যে কারণে পার্টনারশীপ বড় হয়নি। গড়া হয়নি ব্যক্তিগত রানও।
এসব নিয়ে ম্যাচ শেষে রোহিত শর্মা বলেন, ‘এভাবে শুরু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এজবাস্টনের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কার্যকর। আমাদের ফার্স্ট গেইম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও আমি ভালো করেছি। সত্যিকার অর্থে তারা উইকেটের কন্ডিশন বেশ ভালো করে রাখে। তাই ধীরে ধীরে সেট হতে পারলেই রান তোলা সম্ভব।’
এজবাস্টনের বাউন্ডারি নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমি ব্যাট করেছিলাম তখন এজবাস্টনের বাউন্ডারি নিয়ে কোন কিছু চিন্তা করিনি। চিন্তা ছিল উইকেটে সেট হওয়া এবং বোলারদের ওপর প্রেসার ক্রিয়েট করা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।