জুমবাংলা ডেস্ক : খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মাওলানা যুবায়ের আনসারী জানাজা নামাজে জনস্রোত ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এই নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নতুন যোগদান করেই প্রত্যাহার হলেন সরাইল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা।
তিনি সোমবার বিকালে কাছে দাবি করেন, আমি জেনেছি ঘটনার মাত্র আধা ঘণ্টা আগে। তখন আমার করার কিছুই ছিল না। এছাড়া সরাইল থানার ওসি আমাকে কিছুই অবগত করেনি।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকায় জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ পরিণত হয় জনসমুদ্রে! মাঠে জায়গা না হওয়ায় মাদরাসা সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জানাজার নামাজে অংশ নেয় মানুষ।
এই ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর থেকে সরাইল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা, সরাইল থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু ও পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল হককে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন মাওলানা যুবায়ের আহমেদ আনসারী। ওইদিন রাতেই মৃত্যুর সংবাদ মাইকিং করে জানানো হয়। পাশাপাশি ফেসবুকেও প্রচার করা হয়। ফলে পর্যাপ্ত সময় পেয়েও কেন আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়নি পুলিশ।
প্রত্যাহার হওয়া ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে মাত্র ২০ জন পুলিশ সদস্য ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।মূলত জানাজা নামাযে বিষয়টিকে ‘হালকাভাবে’ নেয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই সময় তিনি আরও বলেন, আমার ব্যর্থতা বা অজ্ঞতা হল- এই হুজুর সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কারণ আমি ওনাকে কোনোভাবেই চিনতাম না।
ওসির এই বক্তব্য নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। ওসির এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে চারদিকে। তিনি সরকার দলীয় একজন নীতিনির্ধারক মন্ত্রীর পরিচয় বহন করে সরাইল থানার ওসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেককেই তোয়াক্কা করতেন না। এই ঘটনায় দায়িত্বে গাফলতি কারণে তাকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ সদর দফতর।
এদিকে প্রত্যাহার হওয়া সরাইল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা সোমবার বিকালে মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ২৮ জানুয়ারি এই জেলায় যোগদান করি। যোগদানের পর আমার সার্কেলের সরাইল, আশুগঞ্জ ও নাসিরনগরের গ্রামীণ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। তার মধ্যে আবার চলে আসছে করোনাভাইরাস। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লকডাউন।
তিনি বলেন, এই জেলার আমি কোনো কিছু তেমন চিনিও না, জানিও না। এছাড়া এই বিষয়ে আমাকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু আমাকে আগাম কিছুই বলেনি। আমি জেনেছি, মাত্র আধা ঘণ্টা আগে। জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি সড়কে অবস্থান নেই। তখন আমার কিছু করার ছিল না। এই ঘটনায় তিনি নিজেকে বলির পাঠ হয়েছেন বলে দাবি করেন।
এই ঘটনায় রোববার সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন, বাকি দুই সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) পঙ্কজ কুমার দে। চার কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।