আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। এ সুযোগ তৈরি করতে একটি বিল উত্থাপন করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এই বিরাটসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ না দেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তারা সেই সুযোগ দিতেই বিলটি এনেছেন।
এসব অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য অভিবাসন নীতি সংস্কার ‘দীর্ঘদিনের চাওয়া’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
তিনি বলেছেন, পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভুল নীতি’ থেকে সরে আসার লক্ষ্য ছিল তাদের। বাইডেন প্রশাসনের আমলে উত্থাপিত নতুন বিলে লাখ লাখ অভিবাসীর আইনগত সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে জোর দেওয়া হয়েছে। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগ মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকো থেকে যাওয়া, যারা অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাদের ব্যবসা, বাড়ি, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তান ও নাতি-নাতনিও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, অভিবাসন আমাদের শক্তির যে অপরিমেয় উৎস এবং এটা আমাদের জাতির জন্য অপরিহার্য।
অভিবাসন নীতি সংস্কারকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অভিবাসন নীতিগুলো উপযোগী করার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি। এটা পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলন ঘটাবে, আমাদের অর্থনীতির উন্নতি ও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা করবে।
নতুন এই বিলের প্রধান লক্ষ্য হলো, আগামী আট বছরে যুক্তরাষ্ট্রে কাগজপত্রহীন অবস্থায় বসবাস ও কর্মরত ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব প্রদানের সুযোগ তৈরি করা।
আর এই অভিবাসীদের মধ্যে কৃষিশ্রমিক এবং শিশুকালে পরিবারের সঙ্গে আসা ব্যক্তিদের (ড্রিমার্স) দ্রুত স্থায়ী বসবাসের সুযোগ তৈরি করা হবে অথবা বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে তাদের দেওয়া হবে গ্রিন কার্ড।
এই বিলের প্রধান সমর্থক ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর বব মেনডেজ বলেছেন, কাগজপত্রহীন ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর সবাইকে অন্ধকার থেকে বাইরে আনার এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, এই বিল অভিবাসীদের জীবনমানের যেমন উন্নয়ন ঘটাবে, তেমনি উন্নতি হবে দেশের অর্থনীতি ও অগ্রযাত্রার।
অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলেছে, তারা আশা করছে, বিলটি কংগ্রেসে পাস হবে। যদি পাস না–ও হয়, তাহলে বিকল্প উপায় বিবেচনা করতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রধান লক্ষ্য ছিল-অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকানো, বৈধ অভিবাসী কমানো এবং দশকের পর দশক ধরে বসবাস করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বিতাড়িত করা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।