আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। মস্কো জানিয়েছে, রুশ বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সাই নাভালনির সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভে পশ্চিমা দেশগুলো মদত দিচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই মন্তব্য করেন।
এদিকে এই বিক্ষোভের ব্যাপারে আমেরিকা বলেছে, দেশটির নাগরিকদের বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে।
মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র রেবেকা রস টুইটারে দাবি করেন, রাশিয়া জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, বিক্ষোভ মোকাবেলার জন্য রাশিয়ার সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা জনগণের এই অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এছাড়া রাশিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন জনগণের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন দূতাবাস।
গতকাল রাশিয়ার একটি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে এই সমস্ত বক্তব্য-বিবৃতি এবং পদক্ষেপ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ।
গত ২০ আগস্ট একটি ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কোয় ফেরার সময়ে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আলেক্সাই নাভালনি।
ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেনে চালানো আলাদা আলাদা পরীক্ষায় দেখা গেছে, নাভালনিকে নার্ভ এজেন্টের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরে বিমানবন্দরেই আটক হন পুতিনবিরোধী এ নেতা। প্যারোলে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হওয়ার একটি মামলায় তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠায় মস্কোর একটি আদালত।
এ গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশিযাজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে দেশটির সরকার। রুশ সরকারের দমন পীড়ন আর গণ গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ।
রাশিয়ান সিভিল রাইট পোর্টালের দাবি, শনিবার দেশের ১০০টি রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের সময় সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে তিন হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র মস্কোতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ৩৬০ জনকে।
অন্যদিকে সেন্ট পিটার্সবার্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫২৩ জনকে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয় বলে ওই মানবাধিকার সংগঠনটি দাবি করেছে। তবে ক্রেমলিন এই সংখ্যার সঙ্গে মানতে রাজি হয়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, সিএনএন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।